১৪ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৭:৩৬

কনকনে শীতে দিনাজপুরে বেড়েছে গরম কাপড়ের বেচাকেনা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

কনকনে শীতে দিনাজপুরে বেড়েছে গরম কাপড়ের বেচাকেনা

টানা কয়েক দিনের ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীত নিবারণে দিনাজপুরে সব উপজেলায় বেড়েছে গরম কাপড়ের বেচাকেনা। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত শপিংমলে সব দোকানেই আগ্রহ বেড়েছে শীতের কাপড়ের। পাশাপাশি শহরের কাপড়ের পাইকারি বাজারগুলোও দু’সপ্তাহ ধরে জমজমাট। তবে শপিংমলের চেয়ে ফুটপাতের দোকানেই ভিড় লক্ষণীয়। এ ছাড়াও ভ্রাম্যমাণভাবে বাঁশের ফ্রেম বানিয়ে শীত নিবারণের জন্য নিম্নআয়ের মানুষদের মাঝে অল্প টাকায় পায়ের মোজা, হাতমোজা, কান টুপিরও বিক্রি বেড়েছে।

প্রতিবছর শীতের আগমনে মৌসুমী হকারদের আনাগোনা বেড়ে যায়। বাড়তি রোজগারের আশায় এসব হকার ফুটপাতের পাশাপাশি অলিগলিতেও ফেরি করে। অনেকে শীতের কাপড় কিনে মজুত করলেও তা বিক্রি করতে পারেননি। এ বছরও শুরুতে শীতের দেখা মেলেনি। তখন পসরা সাজিয়ে বসলেও ক্রেতা পাওয়া যায়নি। তবে গত কয়েকদিন শীত বাড়ায় ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে। ফুটপাতে দামও কিছুটা নাগালের মধ্যে থাকায় স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করছেন লোকজন। শীত যত বাড়বে হাটবাজারসহ ফুটপাতের বাজার তত বেশি গরম হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা জানান, তীব্র শীত অনুভূত হওয়ার পর থেকে ফুটপাতে ছোটদের বিভিন্ন সাইজের গরম কাপড়, বয়স্কদের সোয়েটার, কোট, ব্লেজার, মাফলারসহ বিভিন্ন আইটেমের শীতের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। হকাররা অনেকে ৩০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০-২০০ টাকা হাঁকডাক করে এসব কাপড় বিক্রি করছেন। সোয়েটার ও জ্যাকেটের দাম মানভেদে ২০০ থেকে ৮০০ টাকা, ছেলেদের সোয়েটার ১০০ থেকে ৫০০ টাকা, ছেলেদের জ্যাকেট ৩০০ থেকে ৩০০০ টাকা, ছোটদের সোয়েটার ৫০ থেকে ৬০০ টাকা, মাফলার ৪০ থেকে ২০০ টাকা এবং গরম টুপি ৫০ থেকে ২৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

দিনাজপুর শহরের হকার্স মার্কেট, জেলাখানা মার্কেটে, ঘোড়াঘাট সদরসহ ওসমানপুর, ডুগডুগী হাট, বলগাড়ী ও রাণীগঞ্জ হাটে রাস্তার দু’পাশে, বিরামপুর পশুহাটের মোড়ে শীতের জামা কাপড়, জ্যাকেট, সুয়েটার বিক্রির দোকানে বেশি ভিড় হচ্ছে।

রানীগঞ্জ বাজারের পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ জানান, শীতকে কেন্দ্র করে রানীগঞ্জ বাজারে পুরাতন কাপড়ের অস্থায়ী মার্কেট গড়ে ওঠে। আমরা সৈয়দপুর ও ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে পুরাতন কাপড় ক্রয় করে এনে এখানে বিক্রি করি।

এদিকে, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দিনাজপুরে আসেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা, শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েন তারা। ভ্রাম্যমাণ এসব ব্যবসায়ীরা বাঁশের ফ্রেম বানিয়ে নিম্নআয়ের মানুষদের মাঝে অল্প টাকায় পায়ের মোজা, হাতমোজা, কান টুপি বিক্রি করছেন।

ভ্রাম্যমাণ দোকানি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ধারাইকান্দি গ্রামের মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমরা অনেকেই এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রতিবছর শীত মৌসুমে শীতবস্ত্র বিক্রয়ের জন্য আসি। এখানে ভালো বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর