আন্তঃনগর ট্রেন লালমনি এক্সপ্রেসে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস গাজীকে ঘটনার পর বুধবারই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে আক্কাসের বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় মামলাও করেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এছাড়া চলন্ত ট্রেনে ধর্ষণের ঘটনায় লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনকে প্রধান করে চার সদস্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ এ্যান্ড ওয়াগন) তাসরুজ্জামান বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একজন ধর্ষকের জন্য আমাদের কোনো ছাড় নেই। এটা রেলওয়ের ভাবমূর্তির বিষয়, যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা এখন থেকে কঠোর না হলে যাত্রীদের ভেতরে আতঙ্ক তৈরি হতে পারে। দোষী প্রমাণিত হলে তার জন্য আমরা কোনো সহানুভূতিশীল আচরণ দেখাব না।এদিকে ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবারের সাথে রেল পুলিশের পক্ষ থেকে বুধবার রাতে যোগাযোগ করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তার বড় ভাই তাকে নিতে আসে বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাট রেলওয়ে জিআরপি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলী। মেয়েটিকে আদালতে নেওয়ার পর বিচারকের আদেশে তার জবানবন্দী রেকর্ডের পর অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এর আগে বুধবার ভুল ট্রেনে উঠে পড়ায় এক কিশোরীকে চলন্ত ট্রেনে ফাঁকা কেবিনে নিয়ে ধর্ষণ করেন লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস গাজী। এ ঘটনায় আক্কাসকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় রেল পুলিশ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল
.jpg?v=1722083880)
