নেত্রকোনায় আকবর হোসেন নামে এক ট্রাফিক পরিদর্শককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের বিরুদ্ধে। এসময় কয়েক ঘণ্টা সিএনজি চলাচল বন্ধ থাকায় যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি সাময়িক নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে ট্রাফিক পুলিশের অর্থ উত্তোলন ও যত্রতত্র মামলা বন্ধ না হলে সড়কে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন চালকরা।
জানা গেছে, নেত্রকোনার ১০টি উপজেলায় বিভিন্ন সড়কে চলাচল করে অন্তত সাত থেকে আট হাজারের বেশি অটো-সিএনজি। এসকল সিএনজির মধ্যে ৮৮৪টির লাইসেন্স থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিআরটিএ।
সিএনজি চালকরা জানান, ট্রাফিকের মৃদুল রঞ্জন দাস আসার পর থেকে চালক ও সিএনজির বৈধতা না থাকায় নিয়মিত অভিযানে মামলায় পড়তে হয় চালকদের। একজনকে কয়েকবার করে মামলা দেয়। আবার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। সম্প্রতি বিশেষ অভিযানের নামে স্ট্যান্ড কিংবা সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থাতেও মামলা দেওয়া হচ্ছে বলে জানায় চালক সোহেল ও শফিক এবং নেতা আনোয়ার হোসেন।এর ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে নেত্রকোনা পৌর শহরের বনুয়াপাড়া কেন্দুয়া-মদনপুর সিএনজি স্টেশনে ট্রাফিক পুলিশ আকবর হোসেন তিনটি গাড়িতে মামলা দেয়। এসময় মামলা দেওয়ার অভিযোগে চালক চক্র ট্রাফিককে ঘিরে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে চালকরা কিছুক্ষণের মধ্যে বন্ধ করে সকল সিএনজি। এমতাবস্থায় যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় দেখা দেয় উত্তেজনা। পরে খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতনরা গিয়ে ওই ট্রাফিককে উদ্ধার করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মো. লুৎফর রহমান বলেন, যখনই পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে উদ্যোগ নেয়, তখনই তারা একটি সিন্ডিকেট চক্র হয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয়। তাদের মাত্র পৌনে ৯শ গাড়ির লাইসেন্স আছে। বাকি হাজার হাজার গাড়ি সিন্ডিকেট করে চালাচ্ছে। যে কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। কোনো সড়কেই তারা আইন মেনে চালায় না। তারপরও এই বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই