১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৮:৩১

দেবিদ্বারে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন

কুমিল্লা প্রতিনিধি

দেবিদ্বারে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন

কুমিল্লার দেবিদ্বারে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাহিদ হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয় প্রকল্প পরিচালক (আইডিইএ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, কুমিল্লা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মুনীর হোসাইন খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. মতিউল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. ফারুক হোসেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিগার সুলতানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি আবুল কালাম আজাদ বলেন, নাগরিকদের মধ্যে বহু প্রতীক্ষিত উন্নত মানের জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার একটি অংশ। বক্তব্য শেষে তিনি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হাতে স্মার্ট কার্ড তুলে দেওয়ার মাধ্যমে বিতরণ কাজের উদ্বোধন করেন।

উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিস সূত্রে জানা গেছে, দেবিদ্বার উপজেলায় মোট ৮৬ হাজার ভোটারের মাঝে পর্যায়ক্রমে স্মার্ট কার্ড (জাতীয় পরিচয়পত্র) বিতরণ করা হবে। এই জাতীয় পরিচয়পত্রে ২২ ধরনের সেবা পাওয়া যাবে। এবারের স্মার্ট কার্ডে ব্যক্তির নাম (বাংলা ও ইংরেজি), মা-বাবার নাম, জন্মতারিখ ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন নম্বর দৃশ্যমান থাকছে। কার্ডের পেছনে থাকছে ব্যক্তির ভোটার এলাকার ঠিকানা, রক্তের গ্রুপ ও জন্মস্থান। তবে সব মিলিয়ে স্মার্ট কার্ডের মধ্যে থাকা চিপ বা তথ্য ভাণ্ডারে ৩২ ধরনের তথ্য থাকছে, যা মেশিনে পাঠযোগ্য হবে।

স্মার্ট কার্ডের সঙ্গে কাগজের তৈরি লেমিনেটিং করা বিদ্যমান কার্ডের বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। প্লাস্টিকের (পলিমার দিয়ে) তৈরি কার্ডটি মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী হবে। কার্ডের মেয়াদ হবে ১০ বছর। নারীদের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কার্ডে স্বামীর নাম দৃশ্যমান ছিল। বাবার নাম ছিল না। অন্যদিকে পুরুষের কার্ডে স্ত্রীর নাম উল্লেখ ছিল না। একে বৈষম্যমূলক বলে বলা হচ্ছিল। এবার নারীদের স্মার্ট কার্ডে স্বামীর নাম দৃশ্যমান থাকবে না। সেখানে বাবার নাম থাকবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর