পাবনার চাটমোহরের দিঘুলিয়া গ্রামের প্রবাসী আব্দুর রশিদের স্ত্রী সন্তানের হত্যার নেপথ্যে ব্যাংকে যাতায়াত করা। প্রবাসী আব্দুর রশিদের স্ত্রী লাবনী খাতুন বাড়ি নির্মাণের জন্য কয়েক দিন আগে প্রায় ২৫ হাজার ইট ক্রয় করে ও ব্যাংক থেকে নগদ অর্থ উত্তোলন করে বাড়িতে রাখেন। ঘটনার দিন গত ২৫ জানুয়ারি লাবনী ও তার ১০ বছরের ছেলে রিয়াদ রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে যায়। পর দিন সকালে ঘরের দরজা খোলা এবং আসবাবপত্র এলোমেলো দেখে সবাই তাদের খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এক পর্যায়ে লাবনীর মৃতদেহ রান্না ঘরে আর ছেলে রিয়াদের মরদেহ বাড়ির পুকুর পাড়ে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যার পর চাটমোহর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে পাবনা পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসীর নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলমের নেতৃত্বে একদল ফোর্স হত্যার মূল রহস্য উদ্ধঘাটন ও চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নৃশংস হত্যায় জড়িত ৩ জন অভিযুক্ত আসামি চাটমোহর ধুপুলিয়া এলাকার মোজাম আলী ওরফে মোজাম্মেলের দুই ছেলে মো. সাদ্দাম হোসেন (২৬) ও মো. হোসেন আলী (৩৭), রাজবাড়ী খানখানাপুর দত্তপাড়া এলাকার মো. মোস্তফা মিজীর ছেলে মো. হুমায়ন মিজী ওরফে হৃদয়কে (২৮) গ্রেফতারসহ মালামাল উদ্ধার করে পাবনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন পাবনা পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী।বিডি প্রতিদিন/এএ