রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নদী বন্দর দখল করে গড়ে ওঠা ১১০টি অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আজ সোমবার সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান চলে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ'র এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ এই উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
প্রায় ৩৭ বছর আগে দৌলতদিয়া নদী বন্দরের ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় ১১০টি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে প্রভাবশালীরা।সকাল সাড়ে ১১ টায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করার প্রস্তুতি গ্রহণ করলে বাধা দেয় গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সী, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান চৌধুরী, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমানসহ এলাকাবাসী। তাদের ভাষ্য, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন নদী ভাঙন এলাকায়। প্রতি বছর শত শত একর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পদ্মা সেতু চালুর পর দৌলতদিয়া প্রান্তে ব্যবসা-বাণিজ্যে ভাটা পড়েছে। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করলে সাধারণ মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করবেন।
সকল বাধা উপেক্ষা করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ। তিনি বলেন, ‘ দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালীরা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের অধিগ্রহণকৃত জায়গা দখল করে আছে। এখানে কোন ইজারা দেওয়া হয়নি। অনেক বার তাদের সরে যেতে বলা হয়েছে। তারা বিআইডব্লিউটিএ’র নির্দেশনা মানেনি। সোমবার দিনব্যাপী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে শতাধিক স্থাপনা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামীতে যেন এসব জায়গা দখল না হয় সেটি নিয়ে কাজ করবে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।’
উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার সময় গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক এস এম সাজ্জাদুর রহমান, গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রানবন্ধু বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের যানজট নিরসনে ফেরিঘাটের সড়ক ও বাইপাস সড়কের মাঝে বিআইডব্লিউটিএ ৮ একর জায়গার উপর ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যায়ে ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল