শিরোনাম
৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৯:৪৪

রোগীর ছেলেকে নির্যাতনে দুই ইন্টার্ন চিকিৎসক বরখাস্ত, তদন্ত কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রোগীর ছেলেকে নির্যাতনে দুই ইন্টার্ন চিকিৎসক বরখাস্ত, তদন্ত কমিটি
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর ছেলেকে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় দুই ইন্টার্ন চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদসস্যের কমিটি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
 
হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএফএম শামীম আহম্মদ বলেন, ঘটনা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত দুই ইন্টার্ন চিকিৎসক বরখাস্ত থাকবেন। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া দুই ইন্টার্ন চিকিৎসক হলেন, ফরহাদ হাসান ও আলমগীর হোসেন।
 
হাসপাতালের পরিচালক বলেন, ‘বুধবার তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আরও কিছু কাজ আছে। সেগুলো সম্পন্ন করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
 
বুধবার দুপুরে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কক্ষে সুমন পারভেজ রিপন (৩০) নামের এক যুবককে বেধড়ক পেটান ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। রিপনের মা পিয়ারা বেগম (৬০) গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে এই ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। রিপোর্ট দেখানোকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার জের ধরে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাকে পেটান। ভুক্তভোগী রিপনের বাড়ি নগরীর বোসপাড়া এলাকায়।
 
রিপনকে মারধরের ঘটনা নিয়ে হাসপাতাল পরিচালক বুধবার রাত ১টার দিকে সাংবাদিকদের একটি বার্তা পাঠান। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ‘হাসপাতালে মাকে ভর্তির পর থেকেই রিপন বিভিন্ন সময় চিকিৎসক ও নার্সদের বিরক্ত করছিলেন। গালিগালাজ ও হুমকি দিয়ে আসছিলেন। বুধবার দুপুরে ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার রোগীর চিকিৎসা নিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তখন রিপন চিকিৎসকদের স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা দেন এবং গালিগালাজ শুরু করেন। ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলেও তিনি আরও বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং একজন ইন্টার্ন চিকিৎসককে আঘাত করেন। এতে ওয়ার্ডে সংঘর্ষের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।’
 
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হক বলেন, ‘ছেলেটা এসে বলল যে, সে অভিযোগ করবে। আমরা বললাম, অভিযোগ নেব। সমস্যা নাই। পরে সে বলল, তার মাকে অন্য জায়গায় চিকিৎসা করাবেন। হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হচ্ছে না। এটা শুনে আমি হাসপাতালে ফোন করলাম। হাসপাতাল থেকে আমাকে জানিয়েছে যে, তার মাকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। পরে আমি একটা মিটিংয়ে যাই। এসে ছেলেটাকে আর পাইনি।’
 
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন 
 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর