এখনও বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষিত যুবকরা চাকরির পিছনে ছুটে চলছেন। এতে বেশিরভাগ যুবকরা বেকার থেকে যাচ্ছেন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশের অসংখ্য শিক্ষিত যুবক কৃষি উদ্যোক্তা হয়েছেন। এসব উদ্যোক্তাদের কৃষি খামারে বিপুল পরিমাণ নারী-পুরুষ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এতে দেশের সব জেলাতেই এখন মানুষের প্রয়োজনীয় কৃষি পণ্য হাতের নাগালেই পাওয়া যাচ্ছে। কৃষি প্রযুক্তি গ্রহণের মাধ্যমে নিজেকে সফল করা সম্ভব। কৃষি উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই),কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত উপপরিচালক (পিপি) কৃষিবিদ শেখ আজিজুর রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কৃষি তথ্য সার্ভিস আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লার আয়োজনে ‘বিদ্যমান কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্রসমূহ (এআইসিসি) শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে ই-কৃষির বিস্তার’ শীর্ষক কর্মসূচির উঠান বৈঠক অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
কৃষি তথ্য সার্ভিস, আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লার আঞ্চলিক কৃষি তথ্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মনিরুল হক রোমেলের সভাপতিত্বে কুমিল্লা লাকসাম উপজেলার এলাইচ এআইসিস ক্লাবে ১৯ ফেব্রুয়ারি উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উঠান বৈঠকে সভাপতি মনিরুল হক রোমেল, উপস্থিত কৃষকদের কয়েকটি মোবাইল অ্যাপস সম্পর্কে অবহিত করেন। এসব অ্যাপস ব্যবহার করে কৃষকরা নিজেরাই কৃষি কার্যক্রমের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এর মধ্যে খামারি অ্যাপসটি উল্লেখযোগ্য। খামারি অ্যাপসটি ব্যবহার করে কৃষক সহজেই তার যে কোন ফসলের সারের মাত্রা জানতে পারবেন। ‘কৃষকের জানালা’ ‘কৃষি প্রযুক্তি ভান্ডার’ ‘বিনা কৃষি প্রযুক্তি’ ‘খামার বন্ধু’ সহ আরো কয়েকটি মোবাইল অ্যাপস সম্পর্কে তিনি বক্তব্য রাখেন।বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন লাকসাম উপজেলার উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম। সঞ্চালনা করেন উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আলী আহমেদ।
বিডি প্রতিদিন/এএম