কক্সবাজারের চকরিয়ায় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে মৎস্যঘের শ্রমিককে অপহরণের ৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে চিংড়িজোন রামপুর মৌজার ৩ নম্বর হোল্ডিং ২৫ নম্বর প্লট থেকে অপহরণের শিকার হয় মো. আরিফ (১৩)। আরিফ বিএমচর ইউনিয়নের চৈনম্যারঘোনা এলাকার মো. ইয়াছিনের ছেলে।
জানা যায়, পেকুয়া উপজেলার শিলখালী এলাকার বাসিন্দা নুরুল হক জনৈক শাকেরা বেগমের মালিকানাধীন চিংড়িঘের বর্গা নেয়। ওই চিয়ড়িঘেরে মহিষ চরানোর জন্য শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় মো. আরিফকে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে বদরখালী এলাকার ৫-৬ জন দুর্বৃত্ত মহিষ চরানোর সময় অতর্কিতভাবে এসে আক্রমণ করে আরিফের ওপর। এ সময় তাদের হাতে থাকা লম্বা বন্দুকের বাট দিয়ে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে একটি ইঞ্জিন বোটে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে।বিষয়টি জানার পর চিংড়িঘের চাষি নুরুল হক জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ অভিযান শুরু করে। বিকাল ৪টার দিকে বদরখালী বাজারের একটি নির্জন এলাকা থেকে পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ভুক্তভোগী মো. আরিফকে উদ্ধার করে। তবে অপহরণকারীরা পুলিশ আসার খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। উদ্ধারের পর আহত আরিফকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ঘের চাষি নুরুল হক বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি এজাহার দায়ের হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল