২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৪:৪৯

বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ ৯ জেলের খোঁজ মেলেনি সাড়ে তিন মাসেও

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ ৯ জেলের খোঁজ মেলেনি সাড়ে তিন মাসেও

নিখোঁজ জেলেরা

সাড়ে তিন মাসেও খোঁজ মেলেনি বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ হওয়া দুবলার চরের ৯ জেলের। আগামী ২৮ মার্চ সুন্দরবনের দুবলার চরের শুটকি পল্লির কার্যক্রম শেষ হবে। সবকিছু গুটিয়ে নিয়ে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যাবেন জেলে-বহাদ্দররা। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে হারিয়ে যাওয়া জেলেদের কোন খোঁজ না মেলায় উৎকণ্ঠা কাটছে না তাদের নিয়ে আসা স্বজন জেলে-বহাদ্দরের।

গত ১৭ নভেম্বের মাছ শিকারের সময় ঘূর্ণিঝড় মিথিলির আঘাতে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারসহ নিখোঁজ হন ওই ৯ জেলে। এরপর সাড়ে তিন মাস পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন সন্ধান মেলেনি তাদের।

দুবলার চরের অফিস কিল্লার ইসাহাক বহদ্দার ও আবু বহদ্দার জানান, তার এফবি আল্লাহর দান ফিসিং ট্রলারের ১৪ জেলে মাছ ধরার সময় ঘূর্ণিঝড় মিথিলির আঘাতে নিখোঁজ হন। পরে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থায় ৬ জেলেকে অপর একটি ফিসিং ট্রলারের জেলেরা জীবিত উদ্ধার করে। কিন্তু ৯ জেলে এবং ফিসিং ট্রলারে কোন খোঁজ পাওয় যায়নি। প্রায় সাড়ে তিন মাস পার হয়ে গেলেও জেলেদের সন্ধান না পেয়ে তিনি এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। 

নিখোঁজ জেলেরা হচ্ছে, হামিনি জলদাসের ছেলে সুদান, আব্দুল কারিমের ছেলে নেছার, হাবিবুর রহমানের ছেলে আবুল কাসেম, মো. ইসলামরে ছেলে বাদশা, করিম আকনের ছেলে মো. কালু, হরিসন্ন দাসের ছেলে হরি রঞ্জন, সোনায়েত আলীর ছেলে আমির হোসেন, ইসলাম মিয়ার ছেলে নুরুল আফসার, এছাড়া নিখোঁজ মো. জামাল মিয়ার পিতার নাম জানাযায়নি। এদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালি, সাতকানিয়া ও চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। বিষয়টি তারা ২৬ ডিসেম্বর বন বিভাগের দুবলা জেলে পল্লীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। এছাড়া পার্শ্ববর্তী ভারতের বকখালী, কাকদ্বীপসহ বিভিন্ন এলাকার জেলেদের কাছে খোঁজ নিয়েও কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। 

সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা জেলে পল্লীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেষ্ট রেঞ্জার মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে তারা আমাকে জানায়নি। যার কারণে মিথিলির ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট দেয়ার সময় ৯ জেলের নিখোঁজ খবরটি উল্লেখ করা যায়নি।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর