গাজীপুরের শ্রীপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বসতবাড়ির ৫টি আধপাকা কক্ষ পুড়ে গেছে। আগুনে গোয়াল ঘরে থাকা কয়েকটি গরু দগ্ধ হয়েছে। পরে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের নেয়ামত আলীর ছেলে।
ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গরুগুলো গোয়াল ঘরে তুলে পাশের বলদীঘাট বাজারে যাই। ঘণ্টা দুয়েক পর আমার ছেলে দৌড়ে এসে বাড়িতে আগুন লাগার বিষয়টি জানায়। দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে ঘরবাড়িতে আগুন জ্বলছে। এরপর ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হয়। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসেনি। স্থানীয়রা দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আমাদের গোয়াল ঘরে বেঁধে রাখা ৯টি গরু আগুনে পুড়ে গেছে।ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসলে আমাদের গরুগুলো এমনভাবে আগুনে পুড়তো না। মনে হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। এখন বাড়িতে কয়েকজন পশু চিকিৎসক এসে গরুর চিকিৎসা দিচ্ছে।
কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আজিজুল হক বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আগুনে বসতবাড়ি ৫টি রুম এবং কয়েকটি গবাদি পশু গুরুতর আহত হয়েছে। প্রতিটি গরুর শরীরে চামড়া পুড়ে মারাত্মক ক্ষত হয়েছে।
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মাহবুব হোসেন জানান, আগুন লাগার খবর ফায়ার সার্ভিসে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। পথিমধ্যে পুনরায় ফোন করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে ফায়ার সার্ভিসের প্রয়োজন হবে না বলে জানানো হয়। তাই আমরা যাইনি। আগুন লাগার খবর পেয়ে যাইনি, এ ধরনের অভিযোগ করে থাকলে সেটি অবশ্যই মিথ্যা।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত