সোমালিয়ায় জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিকের মধ্যে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার সিংবাহুড়া গ্রামের মোহাম্মদ সালেহ আহমদ রয়েছেন। তিনি জাহাজটিতে ফাইটার পদে কর্মরত আছেন।
সালেহ ওই গ্রামের মৃত সাখায়াত উল্যার ছেলে। তিনি পরিবারে চার ভাই এক বোনের মধ্যে সবার বড়। তার পরিবার সূত্রে জানা যায় উৎকণ্ঠার মধ্য রয়েছেন তার স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তানসহ পরিবারটি।
স্ত্রী তানিয়া আক্তার জানান, বুধবার সকাল সাতটার দিকে অপহৃত সালেহ অজ্ঞাতনামা একটা ফোন থেকে কল করেন। এরপর প্রায় দুই মিনিট ধরে এই কলে তিনি তার জন্য দোয়া করার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান।সালেহকে অক্ষতভাবে উদ্ধারের জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া ২৩ বাংলাদেশি নাবিকের মধ্যে দুই জনের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। এর মধ্যে মো. আনোয়ারুল হক রাজুর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর গ্রামের আজিজুল হক মাস্টারের ছেলে।
রাজুর গ্রামের বাড়িতে এ খবর পৌঁছালে পরিবারের সদস্যদের মাঝে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। পরিবারের সদস্যরা আহাজারি করছে।
নাবিক রাজুর বাবা আজিজুল হক মাস্টার জানান, রাজু গত সাত বছর ধরে জাহাজে নাবিক হিসেবে কাজ করছে। গত বছর জুলাই মাসে সে ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলো। সর্বশেষ চার মাস আগে সে পুনরায় জাহাজের কাজে যোগ দেয়।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল