কক্সবাজার উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিগত এক বছরে অভিযান চালিয়ে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী গ্রুপ আরসার ১০৩ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র্যাবের গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আরসার গান গ্রুপের কমান্ডার সামরিক শাখার প্রধান প্রধান অর্থ সমন্বয়কারী থেকে শুরু করে আরসার শীর্ষ পর্যায়ের কমান্ডার রয়েছে। আরসার আস্তানায় অভিযান চালিয়ে দেশি-বিদেশি অস্ত্র বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব ১৫ এর কক্সবাজার কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থাকে এক শীর্ষ কমান্ডারসহ আরসার ৪ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার উপলক্ষে র্যাব এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।সংবাদ সম্মেলনে লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, মিয়ানমারের এই সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় অবস্থান নেয়। রাতের বেলায় তারা ক্যাম্পে বিভিন্ন অপরাধ এবং নাশকতা সৃষ্টি করে আবার পাহাড়ি এলাকায় চলে যায়। তবে সাম্প্রতিক কালে র্যাবের অভিযানের ফলে ক্যাম্প কেন্দ্রিক আরসার তৎপরতা অনেক কমে এসেছে বলে দাবি করেন তিনি।
ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, কক্সবাজার র্যাবের গোয়েন্দা টিম জানতে পারে যে উখিয়া উপজেলার ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্ধিত অংশে মিয়ানমারের রাখাইন স্টেটের সন্ত্রাসী গ্রুপ আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি আরসার একটি গ্রুপ নতুন করে আস্তানা গড়ে তুলেছে। এরিই সূত্র ধরে র্যাবের একাধিক টিম গতকাল বুধবার রাতে ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্ধিত এলাকার ৫ নম্বর ব্লকে অভিযান চালায়। অভিযানকালে র্যাব একটি বাড়ি থেকে আরসার বাংলাদেশের প্রধান কমান্ডার এবং অর্থ শাখার প্রধান মো. করিম উল্লাহ প্রকাশ মাস্টার কলিম উল্লাহ ও আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনির অন্যতম দেহরক্ষী আকিজসহ চারজন আরসা সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল একটি লম্বা বন্দুক ও গুলি এবং বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
আরসার ৪ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের পর ভোরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের বিভিন্ন আস্তানায় অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত