শেরপুরে দীর্ঘ ৮ মাস কারাভোগের পর জামিন পেলেন আশরাফুল আলী ওরফে সাইফুল ইসলাম (৪৫) নামে মিয়ানমারের এক রোহিঙ্গা নাগরিক। রবিবার ভারপ্রাপ্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালামত উল্লাহ বিচারিক আদালতে তাকে জামিনে মুক্তির আদেশ দেন।
তবে জামিন পেলেও এখন মুক্তি পাচ্ছে না সাইফুল। তাকে তার যথাযথ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে বলেছেন আদালত।পরিবারের লোক আসলেই সাইফুল মুক্তি পাবেন। সাইফুল কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সদস্য এবং সেই সূত্রে স্থানীয় ঈদগড় ইউনিয়নের ছগিরাকাটা গ্রামে অবস্থান করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের প্যানেল আইনজীবী মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম মমিন জানান, ওই রোহিঙ্গা নাগরিক দীর্ঘদিন যাবৎ স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করছিলেন। গত বছরের ২৯ জুলাই সন্ধ্যায় শেরপুর শহরের মীরগঞ্জ বাস টার্মিনালে সন্দেহজনক আচরণে তিনি আটক হন।তখন সাইফুলের কাছে কোন পাসপোর্ট ছিল না। পুলিশকে সাইফুল তথ্য দিয়েছিল তিনি ভারতের হায়দ্রাবাদের নাগরিক। পরদিন তাকে পুলিশ ভারতীয় নাগরিক সন্দেহে পাসপোর্ট ব্যতীত অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা দিয়ে হাজতে পাঠায়। পরে ২৮ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সদর থানার এসআই মো. সিরাজুল ইসলাম।
অন্যদিকে, কক্সবাজার ক্যাম্পে বসবাসকারী সাইফুলের স্ত্রী রোকসানা আক্তার স্বামীর জেলখানায় থাকার বিষয়টি জানতে পেরে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) সাথে যোগাযোগ করে স্বামী বরাবর চিঠি পাঠান। এরপর জেল কর্তৃপক্ষ জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সাধারণ সম্পাদক (সিনিয়র সহকারী জজ) মো. গোলাম মাহবুব খাঁনকে অবহিত করলে আইনগত সহায়তার দ্বার উন্মোচিত হয়।
এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা কারাগারের সুপার মো. হুমায়ুন কবীর খান জানান, ওই ব্যক্তি ভারতীয় নাগরিক হিসেবে কারাগারে এলেও পরে দেখা যায়, তিনি মূলত মিয়ানমারের নাগরিক এবং কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসকারী। মুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো জামিনের আদেশ কারাগারে পৌঁছায়নি। পৌঁছালে তার স্বজন ও নিযুক্ত আইনজীবীর উপস্থিতিতে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই