সুনামগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ঘরবাড়ি ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত ও শিলার তাণ্ডবে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে শান্তিগঞ্জ উপজেলায়। এই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত শতাধিক নারী, শিশুসহ নানা বয়সের লোক।
রবিবার রাত সোয়া ১০টা থেকে সোয়া ১১টা পর্যন্ত ঝড়টি বয়ে যায়। ঝড়ের তাণ্ডবে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে গাছ ভেঙে পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় সুনামগঞ্জ সদরের ইকবাল নগর, শান্তিগঞ্জ ও পাগলা বাজারে ভেঙেপড়া গাছ সড়ক থেকে অপসারণ করে দিলে রাত ২টায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
তবে পাগলা আউশকান্দি সড়কের ডাবরে ৩৩ কেভি লাইনের বিদ্যুৎ সঞ্চালন তার খুঁটি নিয়ে ভেঙে পড়ায় এবং বিভিন্ন স্থানে গাছপালা সড়কে ভেঙে পড়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।এ ছাড়া শান্তিগঞ্জ উপজেলার আভ্যন্তরীণ সড়ক ও গাছপালা ভেঙে পড়ায় যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। এই উপজেলায় বৈদ্যুতিক তারসহ খুঁটি ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। আহতদের সেবা দেওয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পাগলা উপস্বাস্থ্য খুলে রাখার নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নূর হোসেন বলেন, ঝড়ের সময় দোকানের টিন খুলে পড়ে আমি নিজেও আহত হয়েছি। বাজারের কাঁচা ঘর ও অনেকের বাড়িঘর তছনছ হয়ে গেছে। এতে মানুষের অনেক ক্ষতি হয়েছে। অনেকেই আহত হয়েছেন। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে দমকলকর্মীদের দিয়ে রাস্তার ভেঙে পড়া গাছ কেটে যান চলাচল স্বাভাবিক করে দিয়েছি।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা বলেন, রাত ১টার পর আমরা সড়কের ভেঙে পড়া গাছ অপসারণ করে চলাচল স্বাভাবিক করেছি। বহু মানুষের কাঁচা ঘরবাড়ি, টিনশেড ঘর ভেঙে গেছে। আহত হয়েছে বহু মানুষ। আমরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স খোলা রেখেছি। ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন