বাগেরহাটে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে কয়েক শত কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্থ হয়েছে। হাজার-হাজার গাছপালা উপড়ে ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে জেলা সদরসহ ৯টি উপজেলায় বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। কালবৈশাখী ঝড় চলাকালে জেলার কচুয়ার চর সোনাকুড় গ্রামে বজ্রপাতে লিকসান সরদার (৩২) নামে মাদরাসার দপ্তরী নিহত হয়েছেন।
জেলা কেন্দ্রীয় বাস-টার্মিনালে একটি সাইনবোর্ডের টাওয়ার ভেঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা একটি যাত্রীবাহী বাসের ওপর পড়ে এক বাস শ্রমিকসহ বিভিন্ন স্থানে ১৫ জন আহত হয়েছে। কালবৈশাখী ঝড়ে সব থেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বাগেরহাট সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামসহ পৌর এলাকা। এদিকে কালবৈশাখী ঝড় শুরুতে জেলাজুড়ে দিনের বেলায় নেমে আসে রাত। আকাশ মেঘে আচ্ছন্ন হয়ে বর্জ্রবৃষ্টি হলেও দিনের বেলায় এমন অন্ধকার আগে দেখেনি কেউ। প্রায় ২০ মিনিট অন্ধকারে ঢাকা থাকায় বন্ধ হয়ে যায় মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্ম। বাগেরহাট জেলা শহরসহ ৯ উপজেলার সবখানেই এমন অস্বাভাবিক দৃশ্য চোখে পড়ে সবার। এরপর বজ্রপাতের সাথে অবিরাম বৃষ্টিপাত শুরু হলে আকাশ পরিচ্ছন্ন হয়।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালিদ হোসেন এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে চলাকালে গ্রামের মাঠে গরু আনতে গিয়ে চর সোনাকুড় আলিম মাদরাসার দপ্তরী লিকসান সরদার বজ্রপাতে নিহত হয়েছে। গাছপালা উপড়ে ও বিদ্যুতের খুটি ভেঙ্গে পড়ে রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে জেলা সদরসহ ৯টি উপজেলায় বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। জেলায় বিধ্বস্থ হয়েছে কয়েক শত কাঁচা ঘরবাড়ী। কেন্দ্রীয় বাস-টার্মিনালে একটি সাইনবোর্ডের টাওয়ার ভেঙ্গে দাড়িয়ে থাকা একটি যাত্রীবাহী বাসের উপর পড়ে এক বাস শ্রমিকসহ বিভিন্ন স্থানে ১৫ জন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে। ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত পরিমার এখনই বলা সম্ভব নয়, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাদের ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ পাওয়ার পরই তা বলা যাবে।বিডি প্রতিদিন/এএম