৮ মে, ২০২৪ ২১:০৪

গাজীপুরে কলেজছাত্র হত্যায় গ্রেফতার ২

গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরে কলেজছাত্র হত্যায় গ্রেফতার ২

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সদর থানাধীন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিটিউট এলাকায় ছুড়িকাঘাতে কলেজছাত্র খুন ও ডাকাতির ঘটনায় জড়িত দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাসন থানাধীন যোগীতলা উত্তরপাড়া মরা পুকুরপাড় এলাকার মো: আমজাদের ছেলে মো: সুমন (২০) এবং চান্দনা পূর্ব পাড়া এলাকার শ্যামল চৌধুরীর ছেলে অংকন চৌধুরী শিখর (১৮)। বুধবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য জানানো হয়।

নিহত কলেজছাত্রের নাম আল আমিন ওরফে আশিক (১৯)। তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা হাজী মার্কেট এলাকার বাসিন্দা মো: এক্তার আলীর ছেলে। আল আমিন স্থানীয় চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিল।

জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ উত্তর) আবু তোরাব মো: শামছুর রহমান জানান, গত ৪ মে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কতক বন্ধুকে সাথে নিয়ে নিহত কলেজ ছাত্র সদর থানাধীন ধান গবেষনা ইনস্টিটিউটের এলাকায় ঘুরতে যায়। সেখানে ঘোরাফেরা ও ছবি তোলার সময় অজ্ঞাতনামা ৫ জন আসামি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তাদের কাছে আসে। পরে তারা আল আমিন ওরফে আশিককে কিল, ঘুষি মেরে তার সঙ্গীয় শাকিলের নিকট হতে ১টি মোবাইল ফোন জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং নিহত আল আমিনের একটি মোবাইল ফোন ও একটি ক্যামেরা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে। এ সময় আল আমিন বাধা দিয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের একজন আল আমিনের বুকে ছুরিকাঘাত করলে ফিনকি দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। সঙ্গের অন্য সঙ্গীয়রা ডাক-চিৎকার শুরু করলে ছিনতাইকারীরা মোবাইল ফোনসহ দৌড়ে ওয়াল টপকে পালিয়ে যায়। পরে ভিকটিমের সঙ্গীরা তাকে উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল আমিন মৃত্যুবরণ করে। পরে এ ঘটনায় মৃত আশিকের বাবা মো: এক্তার আলী বাদী হয়ে জিএমপির সদর থানায় খুনসহ ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।

তিনি আরো জানান, সদর থানা পুলিশের বিভিন্ন টিম এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের জন্য তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণ ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার জড়িতদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। পরে জড়িতদের মঙ্গলবার রাতে বাসন থানাধীন যোগীতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় হত্যায় ব্যবহৃত ছুড়ি ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেফতার চেষ্টা চলছে।

জিএমপির সদর থানার ওসি সৈয়দ রাফিউল করিম জানান, বুধবার বিকেলে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির করা হলে তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর