১১ মে, ২০২৪ ১১:০৭

কাফনের কাপড় পরে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক

কাফনের কাপড় পরে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ

রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ‘চন্দনা কমিউটার ট্রেন’ এর ফরিদপুর রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতির (স্টপেজ) দাবি জানিয়ে আসছেন জেলার বাসিন্দারা। এ কারণে আবারও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ফরিদপুরবাসী। আন্দোলনকারীরা শরীরে কাফনের কাপড় শরীরে জড়িয়ে রেললাইনে শুয়ে বিক্ষোভ করেছেন।

শনিবার ভোরে ফরিদপুর রেলস্টেশনে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি করে জেলার সর্বস্তরের জনগণ সম্বলিত লেখা ব্যানারে। রাজবাড়ী থেকে ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে ছেড়ে আসা চন্দনা কমিউটার ট্রেন ভোর সাড়ে ৫টায় ফরিদপুর এসে পৌঁছলে ট্রেনটির গতিরোধ করে স্থানীয়রা। ফরিদপুর রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতির দাবি জানিয়ে কাফনের কাপড় পরে রেললাইনে শুয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা।

বিক্ষোভের মুখে প্রায় ৪০ মিনিট ট্রেনটি ফরিদপুর স্টেশনে অবস্থান করে। পরে ট্রেনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবস্থানকারীরা সরে গেলে ৬টা ১০ মিনিটের দিকে ভাঙ্গা হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ঘোষণা করে। এই সময়ের মধ্যে ট্রেনের স্টপেজ না দেওয়া হলে লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

এর আগে একই দাবিতে গত ৫ মে ট্রেন চালুর দিনও স্টপেজের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ করতে রাজবাড়ী-ভাঙ্গা-ঢাকা পথে বাণিজ্যিকভাবে নতুন করে এক জোড়া কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে, ৪ মে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেনটির উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম এমপি। তবে ফরিদপুর রেলস্টেশনে কোন যাত্রাবিরতি না থাকায় এ নিয়ে ফরিদপুরের রেলযাত্রীদের মাঝে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।

তবে চন্দনা কমিউটার ট্রেনের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি জানানো হয়েছে। দ্রুতই স্থানীয়দের দাবির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মূলত একটি ট্রেন দুটি ইঞ্জিন দিয়ে পরিচালিত হবে দুটি রুটে দুটি নামে। রাজবাড়ী থেকে ট্রেনটি এসে ভাঙ্গায় যাত্রাবিরতি নেবে। সেখানে ইঞ্জিন বদলে আবার ঢাকা যাবে। এর মধ্যে ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ১২১ ও ১২৪ নম্বর ট্রেনটির নাম প্রস্তাব করা হয়েছে ‘ভাঙ্গা এক্সপ্রেস’। আর ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে ১২২ ও ১২৩ নম্বর ট্রেনের নাম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘চন্দনা এক্সপ্রেস’। তবে ফরিদপুরে এই ট্রেনের কোনো স্টপেজ নেই। একই রেলপথ দিয়ে বেনাপোল এক্সপ্রেস, সুন্দরবন, রাজশাহী ও নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস চলাচল করে। চারটি ট্রেনেরই ফরিদপুরে যাত্রাবিরতি রয়েছে। কিন্তু চন্দনা কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতি ফরিদপুর রেলস্টেশনে না থাকায় এই বিক্ষোভ করে ফরিদপুরের সর্বস্তরের জনগণ।

বিডি-প্রতিদিন/শআ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর