১২ মে, ২০২৪ ২০:২৪

হত্যা মামলায় একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড ও আরেকজনের যাবজ্জীবন

নরসিংদী প্রতিনিধি

হত্যা মামলায় একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
ও আরেকজনের যাবজ্জীবন

নরসিংদীর মনোহরদীতে শাহ পরান বাবু (২১) নামে এক দর্জিকে হত্যার ঘটনায় একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও আরেক জনের যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত। রবিবার নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালত শামীমা পারভীন এ রায় দেন। এসময় নির্দোষ হওয়ায় দুই আসামিকে খালাস দেন আদালত। নিহত শাহ পরান বাবু মনোহরদী উপজেলার হাররদিয়া এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। সে হাতিরদিয়া বাজারে দর্জির কাজ করতো।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো উপজেলার দক্ষিণ হাররদিয়া এলাকার খোকা মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া (২৩) ও একই এলাকার শাহজালাল এর স্ত্রী শারমিন সুলতানা (২৩)। সোহেলকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও শারমিনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত।

আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর হাররদিয়া এলাকার বকুল মিয়ার বাড়ির পাশের পাকা রাস্তা থেকে শাহপরানের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এঘটনায় নিহতের মা মিনারা বেগম থানায় অঞ্জাতনামা আসামিদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িত সোহেল, সাইফুল (২৩), মুরাদ (২০) ও শারমিনকে গ্রেফতার করে। পরে সোহেল আদলতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দেয়। সে জানায়, শাহপরাণের ভাই প্রবাসে থাকে। এ সুযোগে তার ভাবি শারমিনের সাথে সোহেলের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি শাহপরাণ জানতে পেরে ভাবিকে নিষেধ করে। এজন্য সোহেল ও শারমিন পরিকল্পনা করে ২০১৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর হত্যা করে সড়কে লাশ ফেলে রেখে যায়। দুইজনেই হত্যার দায় স্বীকার করে। 
এমামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাডভোকেট এম এ এন অলিউল্লাহ ও এ্যাড. আসাদুজ্জামান আর আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন, এ্যাড. মো. শাজাহান মিয়া ও এ্যাড. রুজি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাডভোকেট এম এ এন অলিউল্লাহ বলেন, ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত সোহেলকে সরাসরি হত্যা করায় তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড, আর ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় শারমিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। আর নির্দোশ প্রমাণিত হওয়ায় মুরাদ ও সাইফুলকে খালাস দেওয়া হয়। বর্তমানে শারমিন জেলহাজতে থাকলেও সোহেল পলাতক রয়েছে। আমরা এ মামলার রায়ে সন্তুষ্ট।

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর