১৪ মে, ২০২৪ ১৫:০২

বোরো ধানের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

দিনাজপুর প্রতিনিধি

বোরো ধানের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

ফসলের মাঠে মাঠে শুধু ধান আর ধান। কড়া রোদের ফাঁকে হালকা বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্নের সোনার ফসল। ক্ষেতে বোরো ধানের শীস দেখে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা গেছে। চলতি মৌসুমে কৃষকের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের এ ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা চিরিরবন্দরসহ দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলায়। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে নিরাপদে ধান ঘরে তোলার।

সরেজমিনে চিরিরবন্দরের নশরতপুর, সাতনালা, আলোকডিহি, তেঁতুলিয়া, ফতেজংপুর, ইসবপুর, সাঁইতাড়া, আব্দুলপুর, আউলিয়াপুকুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে দেখা যায়, দিগন্ত জোড়া সবুজ আর হলুদ রঙে সেজেছে বোরো ধানের ক্ষেত। ধানের মম গন্ধে ভরে উঠেছে গ্রামীণ জনপদ। এখন মাঠজুড়ে বোরো ধান সোনালি রঙ ধারণ করেছে। জমিতে চারা লাগানোর পর থেকেই কৃষকরা ভালো ফলনের আশায় সময়মতো নিবিড় পরিচর্যা, সার, সেচ ও কীটনাশক প্রয়োগ করেছেন। এ কারণে আবাদও ভালো হয়েছে। এছাড়াও এবার ক্ষেতে তেমন কোনো রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণও নেই। সবমিলিয়ে চলতি মৌসুমে কৃষকেরা পরিতৃপ্ত।

চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে চিরিরবন্দরের ১২টি ইউনিয়নে লক্ষ্যমাত্রা ১৯ হাজার ৫৬১ হেক্টর জমি নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ১৯ হাজার ৬১৭ হেক্টর জমিতে। কোনোরকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। প্রতিবিঘা জমিতে অন্তত ৪০-৪৫ মণ ধান উৎপাদন হবে বলে আশা কৃষকের। এসময় কৃষক ও শ্রমিকেরা দলবদ্ধ হয়ে জমিতে ধান কাটতে সময় পার করছেন। এদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন তাদের পরিবারের অন্য সদস্যরা। ইতোমধ্যে আগাম জাতের ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। 

নশরতপুর ইউপির নশরতপুর গ্রামের কৃষক কার্তিক চন্দ্র রায় বলেন, বোরো ধান আবাদ করেছি এবং এ পর্যন্ত ধানের কোনো ক্ষতি হয়নি। ধানের ফলন দেখে মনটা ভরে গেছে। 

পুনট্টি ইউপির হরনন্দপুর গ্রামের কৃষক রাশেদুল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর ধানের ফলন ভালো হয়েছে। এবার ১০ একর জমিতে চাষ করেছি। ধান চাষে প্রতিবিঘা জমি প্রস্তুত, কীটনাশক, সার, পানি, নিড়ানী এবং কাটা-মাড়াই করতে অন্তত ১৫-১৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে অন্তত ৪০-৪৫ মণ করে ধান পাওয়া যাবে। আশা করছি, আশানুরূপ ফলন পাবো।

আরেক কৃষক তৈয়ব আলী বলেন, এবার ৫ একর জমিতে ধান চাষ করেছি। এবার ধানের তেমন রোগবালাই নেই। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। তবে ১০-১৫ দিনের মধ্যে পুরোদমে শুরু হবে ধান কাটা-মাড়াই।

চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ফলনও আশানুরূপ হয়েছে। রোগবালাইও তেমন নেই। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে দ্রুত পাকাধান কাটার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। 


বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর