১৪ মে, ২০২৪ ১৭:০৩

বাহারি ফলের পসরা সাজিয়ে আসছে মধুমাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

বাহারি ফলের পসরা সাজিয়ে আসছে মধুমাস

মধুমাস জ্যৈষ্ঠ। ছয় ঋতুর দেশে বাঁক বদলের পথ পরিক্রমায় এখন চলছে গ্রীষ্মকাল। বৈশাখ- জ্যৈষ্ঠ এই দুই মাস গ্রীষ্মের বার্তা নিয়ে আসে। আগামীকাল বুধবার থেকে মধুমাস জ্যৈষ্ঠের যাত্রা শুরু।

এ মাসে বাহারি ফলের মৌ মৌ গন্ধ চারপাশ ভরে ওঠে। রংপুর সিটি বাজারেও এখন গ্রীষ্মকালীন ফলের ছড়াছড়ি।

 মধুমাসে বাজারে পাওয়া যাবে আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, জামরুল, আনারস, কলা। মিলবে লটকন, পেয়ারা, বাঙ্গি, তরমুজ ইত্যাদি।

তরমুজ, বাঙ্গিসহ কিছু কিছু আম এবং লিচু ইতোমধ্যেই রংপুরের বাজারে চলে এসেছে। কিছুদিনের মধ্যেই পাওয়া যাবে পাকা কাঁঠাল। জাম, জামররুল, পেয়ারা, আনারসও পাওয়া যাচ্ছে। কলার ফলনও এই সময় বেশি হয়। তবে এখানেই শেষ নয়, এই মাসে পাওয়া যাবে কামরাঙা, ছফেদা, গাব, আমড়া ইত্যাদি। 

কাঁঠাল জাতীয় ফল হলেও এসময় বাজার দলখে রাখে বাঙালির প্রিয় ফল আম। নানা জাতের আম এ দেশে পাওয়া যায়। দেশি আম টক-মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে। রংপুরের বিখ্যাত হাড়িভাঙ্গা, আম্রপলি, গোপাল ভোগ, ক্ষিরসাপাত, ল্যাংড়া, রানীভোগ, ফজলিসহ নানা জাতের মিষ্টি স্বাদের আমের রসে সিক্ত হবে মুখ। 

আম এই মাসের ফল হলেও হাড়িভাঙ্গা পাওয়া যায় জুন মাসের শেষে। কিন্তু লিচু খুব স্বল্প সময়ের ফল। বাজারে এর স্থায়ীত্ব থাকে ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ। সাধারণত চার প্রকার লিচু পাওয়া যায়। যেমন দেশি, বোম্বাই, চায়না এবং বেদানা জাতের। বেদানা জাতের লিচুর দাম সবচেয়ে বেশি। এই লিচু দিনাজপুর এলাকায় বেশি জন্মে। জামও স্বল্প সময়ের ফল। জাম কয়েক প্রকার- বড় জাম, ছোট জাম এবং ক্ষুদে জাম। ছোট  জাতের জাম পাওয়া যায় ভাদ্র-আশ্বিন মাসেও পাওয়া যায়।

কাঁঠাল এমন একটি ফল যা কাচা ও পাকা দুই অবস্থাতেই খাওয়া যায়। কাচা কাঁঠালকে এঁচোড় বলা হয়। এই কাঁঠালে তরকারি হয়। কাঁঠালের আটিও অনেকেরই কাছে প্রিয়  খাবার।

 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর