ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার শিলাস্তি রহমান অপরাধী হলে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন শিলাস্তির চাচাতো দাদা (দাদার ভাই) বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম মিয়া।
গতকার শনিবার দুপুরে শিলাস্তি রহমানের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধবুরিয়া ইউনিয়নের পাইসানায় গিয়ে দেখা যায়, পুরো বাড়ি ফাঁকা। টিনের ঘরে তালা ঝুলছে। টিনের ঘরের পাশেই নির্মাণ করা হয়েছে দোতলা বাড়ি। তবে বাড়ির ভেতরে আসবাবপত্র নেই।
শিলাস্তির চাচাতো দাদা (দাদার ভাই) বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম মিয়া
তিনি আরও বলেন, আমার নাতি অপরাধী হলে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি শিলাস্তি আসামি। যদি আসলে হত্যায় জড়িত থাকে, তাহলে তদন্তসাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করছি।
স্থানীয় লোকজন জানান, শিলাস্তির দাদারা ছিলেন ৬ ভাই। শিলাস্তির দাদাসহ বাকি দুই ভাই স্বাধীনতার পর ঢাকায় চলে আসেন। শিলাস্তি রহমান ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকায় বসবাস করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই শিলাস্তি রহমানের দাদার সম্পত্তি তার বাবা আরিফুর রহমান বিক্রি করে ঢাকায় চলে যান। বাড়িটা থাকলেও তারা কেউ এখানে তেমন একটা আসেন না।
নাগরপুরের ধুবরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান খান বলেন, তারা অনেক আগে থেকেই ঢাকায় থাকেন। কেউ সঠিকভাবে বলতেও পারে না যে শিলাস্তি কোথাকার। এখন আমরা জানতে পারলাম যে তার বাড়ি নাগরপুরে। শুক্রবার পর্যন্তও বিষয়টি জানতাম না।
নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, শিলাস্তি নামের মেয়েটি নাগরপুরের এমন কোনো তথ্য এখনও পাইনি। তার বিষয়েও আর কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত আমার কাছে নেই। জানলে জানাতে পারব।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার শিলাস্তি রহমানসহ তিন আসামি আট দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। অন্য দুই আসামি হলেন আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া ও তানভীর ভূঁইয়া।
গত ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলানগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন নিহত আনোয়ারুল আজীম আনারের মেয়ে মোমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ