ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সাগরে পানির উচ্চতা বেড়েছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে কক্সবাজারে। এতে কক্সবাজার শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ড সমিতি পাড়া লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। সমিতি পাড়া বাজার থেকে কুতুবদিয়া পাড়া, সমিতি পাড়া, মোস্তাক পাড়া, বাসিন্না পাড়ার নিচু অংশ প্লাবিত হয়েছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে।
কুতুবদিয়া পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা আলী আজগর বলছেন, জোয়ারের পানিতে প্রায়ই এ অঞ্চল প্লাবিত হয়। তবে এবার সাগরের পানি বেড়ে যাওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নাজিরারটেক শুঁটকি মহালে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে শুঁটকি মহালের জিনিসপত্র গোছানোর কর্মব্যস্ততা বেড়েছে কর্মচারীদের।
সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা মাইকিং চালিয়ে সতর্ক করছেন এবং নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে অনুরোধ করছেন।ওদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন আগাম প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় সিপিপির ৮ হাজার ৬০০ এবং রেডক্রিসেন্টের ২২০০সহ ১০ হাজার ৮০০ সেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬৩৮ টি কেন্দ্র। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ৪শ ৮৬ মেট্রিক টন জি আর চাল, ২ লক্ষ ৭৫ হাজার নগদ টাকা, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল ১৮ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা, ২৯ বান্ডিল ঢেউটিন সাথে গৃহ নির্মাণ মজুরি অর্থ ৬৯ হাজার টাকা মজুদ আছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল