ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্ন চর ঢালচর, চর নিজাম, চর ফারুকি, মুজিব নগর, চর কুকরি মুকরি, চরপাতিলাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৬ হাজারের অধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নওরীন হক। তবে এখন পর্যন্ত প্রশাসন থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হয়নি। আনুমানিক ৬ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হতে পারে বরে ইউএনও গণমাধ্যমে জানান।
উপজেলার বিচ্ছিন্ন ভূ-খন্ডে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে গবাদি পশু নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে কৃষকরা। জোয়ারের পানির অস্বাভাবিক উচ্চতার কারণে তলিয়ে গেছে মৎস্য খামারিদের প্রায় ৩০ লাখ টাকার মাছ। রিমালের আঘাতে ঘরবাড়ি বিধস্থ হয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। ভোলা উপকূল এলাকায় আঘাত হানার পর দ্বিতীয় দিনেও বৃষ্টি কমলেও বাতাসের তীব্রতা কমেনি। দুর্যোগের মধ্যে স্বাভাবিক কাজ কর্ম না থাকায় খেটে খাওয়া মানুষেরা আর্থিক সংকটে জীবনযাপন করছে।আজ সরেজমিন বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে দেখা যায় দেখা গেছে, ঝড়ের প্রভাবে রাস্তার পাশে গাছপালা পড়ে থাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তারে গাছপালা পরে তার ছিড়ে রাস্তায় পরে আছে। দুুই দিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় ফ্রীজে রাখা সকল খাবার নস্ট হয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবে ঘরবাড়ির ট্যাংকিতে পানি উঠাতে না পারায় ওজু গোসল রান্না কান্নার কাজে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
বিদ্যুত বিভাগ বলছে, লাইনে কাজ চলছে তবে আজকালের মধ্যে বিদ্যুত সংযোগের সম্ভাবনা নেই বলে জানান আবাসিক প্রকৌশলী।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পওর) চরফ্যাশন ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ বলেন, রিমালের প্রভাবে ঢেউয়ের সাথে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ দৃস্টিনন্দন প্রশান্তি পার্ক রক্ষায় কাজ জরুরী মেরামতের কাজ চলছে। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ এখনও ক্ষয়ক্ষতির তালিকা নিরুপন করতে পারেনি। বৃষ্টি কমলে মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের কর্মিরা কৃষকের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রণয়ন করবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নওরীন হক বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে চরফ্যাশনে প্রায় ৬ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ তালিকা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে মোবাইলে খবর নিয়ে করা হয়েছে। আজ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসন থেকে বরাদ্দকৃত শুকনো খাবার অসহায় পরিবারদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম