২৮ মে, ২০২৪ ১২:৩০

চাঁদপুরে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি, ‍দুইজনকে কুপিয়ে হত্যা

চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুরে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি, ‍দুইজনকে কুপিয়ে হত্যা

চাঁদপুর হাজীগঞ্জে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল দাদি ও নাতিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় আরেক শিশুকে রাতেই কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়।

সোমবার রাতে উপজেলার ২নং বাকিলা ইউনিয়নের পশ্চিম রাধাসার বকাউল বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। ডাকাতের হামলায় নিহতরা হলেন -বকাউল বাড়ির প্রবাসী ইউসুফের ছেলে শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাফাত (১২), ও দাদি হামিদা বেগম (৭০)।

ডাকাত দল  ইউসুফের মেয়ে শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী হালিমাকে (১৪) কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

খান বাড়ির বাবলু জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিহত আরাফাতের মা শাহিন আমাকে তাদের বাড়িতে ডাকাত ঢুকে কুপিয়েছে বলে ফোন করে। পরে স্থানীয় মসজিদের মাইকে বকাউল বাড়িতে ডাকাত ঢুকেছে বলে প্রচার করা হয়। পরে আমিসহ কয়েকজন ওই বাড়িতে যাই। গিয়ে দেখি প্রবাসী ইউসুফের মায়ের মৃতদেহ খাটের ওপর পড়ে আছে। তার ছেলে আরাফাত ও মেয়ে হালিমা আহত অবস্থায় নিচে পড়ে ছিল। তাদের শরীর থেকে রক্ত ঝরছিল। 

স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও অন্যদের সহযোগিতায় আহতদের কাঁধে করে পাশের বাড়ি থেকে অটো নিয়ে হাসপাতালে রওনা হই। পথেই আরাফাত মারা যায়। হাসপাতাল থেকে আরাফাতের বোন হালিমাকে কুমিল্লা মেডিকেল, পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়। তার পিঠে ও বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।

একই বাড়ির সাহাবুদ্দিন জানান, ডাকাতির ঘটনায় ফোন পেয়ে আমরা ওই বাড়িতে যাই। আমার বড় ভাইয়ের স্ত্রী ফাতেমা জানান, তার ঘরের তালা ভেঙে ডাকাত দল তার ঘরে প্রবেশ করে। সে অন্য একটি রুমের দরজা আটকিয়ে বিভিন্নজনকে ফোন করে বাড়িতে ডাকাতি হচ্ছে বলে জানাচ্ছিল। ডাকাত দল কালো বোরকা পরা ছিল।

স্থানীয়রা জানান, বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও ৩টি বিল্ডিং রেখে কেন ডাকাত দল টিনের ঘরে ঢুকলো। ডাকাতরা ডাকাতির উদ্দেশ্য ওই ঘরে প্রবেশ করলে, ঘর থেকে কোনো স্বর্ণালংকার খোয়া যায়নি। এমনকি নিহত বৃদ্ধা হামিদা বেগমের গলায় স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল আছে।

হাজীগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, প্রচণ্ড ঝড় বৃষ্টিতে ডাকাতির খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর