টাঙ্গাইলে নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে সিলমারা ব্যালট পেপার ফেসবুকে পোস্ট করার হিড়িক পড়েছে। বুধবার তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমন চিত্র অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে অহরহ এমন ব্যালট পেপারের ছবি দেখা গেছে।
নিয়ম অনুযায়ী ভোটার ভোট প্রদানের আগে বা বুথে প্রবেশের আগে মোবাইল ফোন কেন্দ্রে দায়িত্বরতদের কাছে জমা দিয়ে বুথে প্রবেশ করবে। এছাড়া ভোটারদের কাছে মোবাইল ফোন বা ছবি তোলার কোন কিছু যাতে ভোটাররা বুথে নিয়ে না যেতে পারেন সেটি তল্লাশি করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যারা। এরপরও ভোটাররা আইন লঙ্ঘন করে ভোট ব্যালট পেপারে সিল দেয়ার পর সেটির ছবি তুলে ফেসবুকে দিচ্ছেন।
দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানে পদে এম শিবলী সাদিককে টেলিফোন প্রতীকে সিল মেরে ব্যালট পেপারের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছে আলমগীর হোসেন নামে একজন ভোটার।
টাঙ্গাইল সদরে চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন খান তোফাকে দোয়াত কলম প্রতীকে ও ভাইস চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহম্মেদ রাজীবকে উড়োজাহাজ প্রতীকে ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী পপি গুহকে পদ্মফুল প্রতীকে সিল মেরে ব্যালট পেপার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছে মুহিত ইসলাম নামের একজন ভোটার।
একই উপজেলায় মোহাম্মদ ফারুক হোসেন মানিককে ঘোড়া প্রতীকে সিল মেরে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন কাজী ইলিয়াস নামের একজন ভোটার।
সদরে আসলামন খান জনি নামের এক ব্যক্তি ঘোড়া প্রতীকে সমর্থন জানিয়ে ফাঁকা ব্যালট পেপার পোস্ট করেছেন ফেসবুকে।
দেলদুয়ারে এ্যালেক্স অপ্পি নামের এক আইডি থেকে টেলিফোন প্রতীকে সিল মেরে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।
শুধু একজনই নয়। এভাবে আরও কর্মী সমর্থকরা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে ব্যালট পেপারের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।
এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মতিযুর রহমান বলেন, সিলযুক্ত ব্যালট কেউ ফেসবুকে দিয়েছে কিনা জানিনা। না জেনে বক্তব্য দেয়া সম্ভব না।
বিডি প্রতিদিন/এএ