আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বুধবার তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার ফলাফল বিশ্লেষণে বিষয়টি জানা যায়। জামানত ফিরে পেতে কাস্টিং ভোটের ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ১১ হাজার ২৮৪টি ভোট পাওয়ার কথা থাকলেও তিনি পেয়েছেন মাত্র ৪ হাজার ৬১০ ভোট।এদিকে, অনিয়ম জালভোট ও ৪০ কেন্দ্র দখলের অভিযোগ তুলে নোয়াখালীতে সড়ক ও সেতুমন্ত্রীর ভাই চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট বর্জন করেন। ভোট বাতিল করে পুনঃতফসিলের দাবিও জানান এই প্রার্থী। নিজের ভোট দিতে পারলেন না বলে সাংবাদিকদের নিকট ক্ষোভ প্রকাশ করেন চেয়ারম্যানপ্রার্থী সাহাদাত হোসেন।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৮ হাজার ২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদল পেয়েছেন ১৮ হাজার ৬৭৮ ভোট। সেতুমন্ত্রীর ভাই শাহাদাত হোসেন টেলিফোন প্রতীকে ৪ হাজার ৬১০টি ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। সর্বশেষ মোটরসাইকেল প্রতীকে ওমর আলী ১ হাজার ৪৮২ ভোট পেয়ে জামানত হারালেন।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী বলেন, জামানত হারানোয় শাহাদাত হোসেন ও ওমর আলীর চেয়ারম্যান পদের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে রাখা ১ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত হবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত