১ জুন, ২০২৪ ২১:১১

কলাপাড়ার অনেককেই সর্বহারা করেছে রিমাল

কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি

কলাপাড়ার অনেককেই সর্বহারা করেছে রিমাল

দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে এক যুগ ধরে কর্মহীন তৃষ্ণা রানীর স্বামী খোকন গাইন। পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন ছোট্ট একটি ঘরে বসে সেলাই করে, হোগলা বুনে ও কয়েকটি শিশুকে প্রাইভেট পড়ানোর আয়ে চলে তার সংসার। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রিমাল সেই মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু তছনছ করে দিয়েছে। ঘরের মালামাল ভেসে গেছে পানিতে। এখন ঘর ঠিক করতে মিস্ত্রী নেয়ার মত টাকা নেই, তাই মাথার ওপর আচ্ছাদন দেয়ার চেষ্টা করছেন নিজেই। 

তৃষ্ণা রানী জানান, সিডরের পর থেকেই চার দফা তার ঘর ভেঙেছে ঝড়ে। কিন্তু এবারে তার শেষ সম্বলটুকুও ভেসে গেছে। একই এলাকার বিধবা দিপালী রানীর ঘর চাপা পড়েছে ভেঙে পড়া গাছের নিচে। এখনো একটি কলেজের রুমে রাত কাটাচ্ছেন তিনি। দিপালী রানী জানান, গত তিন বছর আর আগে তার স্বামী মারা গেছে। এর পরে ছেলে চয়ন ডাকুয়া লোখাপড়ার পাশাপাশি ফুটপাতে বসে চা বিক্রি করে সংসার চালায়। ঘূর্ণি ঝড় রিমালের তাণ্ডবে গাছ পড়ে ঘরের সব ভেঙে তছনছ হয়ে যায়। তিনি কিভাবে এই ঘরে থাকবেন, বুঝছেন না। উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন ও দু’টি পৌরসভার সবখানেই ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ নিম্নআয়ের পরিবারে চলছে এমন কান্না।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, রিমালে উপজেলার ১৬৭১টি ঘর বাড়ী সম্পূর্ণ এবং ২৬ হাজার ৯টি ঘর বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উপজেলায় দুর্গত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭৫ হাজার। 

উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.হুমায়ুন কবির জানান, ক্ষতিগ্রস্থদের গৃহনির্মাণ বাবদ টিন এবং অন্যান্য উপকরণ ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য বরাদ্দ আছে, যা দ্রুতই তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে।

   


বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর