গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নাওজোর এলাকায় মহাসড়ক পার হওয়ার সময় নারীর মৃত্যুর গুজবে তাকওয়া পরিবহনের একটি মিনিবাসে আগুন দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। উত্তেজিত জনতা গাজীপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়ক প্রায় আধা ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে।

সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাসন থানার নাওজোর এলাকায় গাজীপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কাশেম ট্রেক্সটাইল মিলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. নজরুল ইসলাম জানান, সোমবার রাত পৌনে ৯ টার দিকে গাজীপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কাশেম টেক্সটাইলের সামনে তাকওয়া পরিবহনের ধাক্কায় শাপলা খাতুন আহত হন। পরবর্তীতে উত্তেজিত জনতা তাকওয়া পরিবহনে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ৩০ মিনিট ধরে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। গুরুতর আহত শাপলা খাতুনকে উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক বলেন, শাপলা খাতুন বাসায় ফেরার পথে রাত পৌনে ৯ টার দিকে কাশেম টেক্সটাইলের সামনে তাকওয়া পরিবহনের যাত্রীবাহী মিনিবাস তাকে চাপা দেয়। এতে হাসপাতালের নার্স শাপলা গুরুতর আহত হন। এলাকাবাসী তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরে সেখান থেকে তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু তার অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তাকে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে এলাকায় ওই সেবিকার মৃত্যু হয়েছে এমন খবরে বিক্ষুব্ধ জনতা তাকওয়া পরিবহনের একটি মিনিবাসে আগুন দেয়। পরে ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভায় ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পথে বাস চলাচল সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ঘটনার আধা ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে ওই মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়। 

গাজীপুররের চৌরাস্তা মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা রুহুল আমিন মোল্লা বলেন, একজনের মৃত্যুর খবরে বিক্ষুব্ধ জনতা তাকওয়া বাসটিতে আগুন দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তবে বাসটির বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল