শিরোনাম
৯ জুন, ২০২৪ ১৫:৫৮

ঈদে যাত্রীসেবায় সৈয়দপুরে মেরামত হচ্ছে ৯০ কোচ

নীলফামারী প্রতিনিধি

ঈদে যাত্রীসেবায় সৈয়দপুরে মেরামত হচ্ছে ৯০ কোচ

অন্যান্য বছরের মতো এবার ঈদেও ঘরমুখো যাত্রীদের সেবা দিতে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় চলছে কোচ (বগি) মেরামতের কাজ। ঈদের আগে ও পরে বিভিন্ন ট্রেনে যুক্ত হবে চলাচল উপযোগী এসব রেলকোচ।

সড়ক পথের চেয়ে নিরাপদ ভ্রমণ হিসেবে রেলপথকে বেশি পছন্দ করেন যাত্রীরা। তার ওপর ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়তি চাপ সামলাতে হয় রেলওয়েকে। উৎসব ঘিরে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনে নিয়মিত ট্রেনের বহরে যুক্ত করা হয় অতিরিক্ত কোচ (বগি)। জনবল সংকটের মাঝেও নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত সময় দিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে মেরামত কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জনবল সংকট ও বাজেট স্বল্পতার মধ্যেও ঈদে চাহিদা মতো সরবরাহ করতে মেরামত করা হচ্ছে বাড়তি ৯০টি কোচ। এর মধ্যে ৫৯টি ব্রডগেজ ও ১৩টি মিটার গেজ কোচ। ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা ৭২টি কোচ রেলওয়ের পাকশী ও লালমনিরহাট ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর অবশিষ্ট ১৮টি কোচের মেরামত কাজ চলছে, যা পর্যায়ক্রমে আগামী ১৩ জুনের মধ্যে হস্তান্তর করা শেষ হবে।

কারখানা সূত্রে জানা যায়, রেলওয়ে কারখানার ২৯ শপে (উপ-কারখানা) ২ হাজার ৮৫৯ জন লোকবলের বিপরীতে মাত্র ৮৬০ জন কর্মরত আছেন। আর এর সঙ্গে রয়েছে বাজেট স্বল্পতা। এমন নানা সমস্যার মধ্যে আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করতে অধিক সংখ্যক কোচ মেরামত করা হচ্ছে। কারখানার পাঁচটি শপে কোচ প্রস্তুতের কর্মযজ্ঞ চলছে। ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা ৭২টি কোচ রেলের ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে কোচ মেরামতের লক্ষ্যপূরণ করতে দৈনিক ও ছুটির দিন মিলিয়ে অতিরিক্ত কর্মঘণ্টায় কাজ করছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। আর এসব মেরামত করা বাড়তি কোচ দিয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে ঈদযাত্রায় আগে ও পরে ঈদ স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করবে। অবশিষ্ট কোচ অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনে যুক্ত করা হবে বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনবহরে। এতে ঘরমুখো অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে সক্ষম হবে রেলওয়ে। এতে করে ঈদযাত্রায় যাত্রীদের ভোগান্তি কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ শপের ইনচার্জ প্রকৌশলী মোমিনুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর ঈদ উপলক্ষে কারখানায় বাড়তি কোচ মেরামত করা হয়। এবারও মেরামত করা হচ্ছে ৯০টি কোচ। কারখানার ক্যারেজ, বগি ও পেইন্ট শপে কোচের বডি, ট্রলি ও রঙের কাজ হচ্ছে। জনবল সংকটের মধ্যে শ্রমিক-কর্মচারীরা দৈনিক কর্মঘণ্টার অতিরিক্ত সময় কাজ করছেন লক্ষ্যপূরণে। আশা করি, এসব অতিরিক্ত কোচ ট্রেনে যুক্ত হলে ঈদযাত্রায় যাত্রীরা বাড়তি সুবিধা পাবেন।

পেইন্ট শপের শ্রমিক আশরাফ হোসেন বলেন, আমাদের শপের কাজ হচ্ছে কোচগুলো রং করে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা। লোকসংখ্যা কমের কারণে খুব কষ্টের মধ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। রেল যেহেতু সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, তাই আমরা সেবার জন্য সবসময় বেশি করে শ্রম দেই। যাতে ঈদে যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি না হয়।

ক্যারেজ শপের শ্রমিক সাকিরুল ইসলাম বলেন, ঈদ এলে আমাদের কাজের ব্যস্ততা বাড়ে। এখন কাজের জন্য দম ফেলার ফুরসত নেই। ঈদ ঘনিয়ে আসছে, তাই কাজের চাপও বাড়ছে।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ওয়ার্কস ম্যানেজার শেখ হাসানুজ্জামান বলেন, ঈদকে সামনে রেখে অতিরিক্ত রেলকোচ মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন রেলওয়ে কারখানার শ্রমিকরা। আশা করি সময়মতো রেল কোচ মেরামত সম্পন্ন হবে এবং ঈদযাত্রায় যাত্রীরা নির্বিঘ্নে, নিরাপদে ও স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারবেন।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর