১০ জুন, ২০২৪ ১৭:৪৭

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মো. নাঈম (১৭) হত্যা মামলায় ১৬ বছর পর আদালতের রায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন ও তিনজনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক আব্দুল হান্নান এ রায় দেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন-জেলা সদরের উত্তর পৈরতলার দাড়িয়াপুর গ্রামের কানু দাসের ছেলে কাজল দাস (৩৯), রঞ্জন দাসের ছেলে জুনু দাস (৩৮) ও অশ্বিনী দাসের ছেলে অভিরাম দাস (৩৬)।

এ ছাড়া ৭ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে একই গ্রামের রঞ্জন দাসের ছেলে জুয়েল দাস (৩৯), হীরা লাল দাসের ছেলে স্বপন কুমার দাস (৪৪) ও হরী দাসের ছেলে অশ্বিনী দাসকে (৭৬)। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে রায় প্রদানকালে শুধু স্বপন কুমার দাস উপস্থিত ছিলেন। বাকি সব আসামি পলাতক রয়েছেন।

মামলার নথি ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১৬ জুন রাতে নিখোঁজ হন জেলা শহরের উত্তর পৈরতলার সের আলী মিয়ার ছেলে মো. নাঈম। এ ঘটনার দুইদিন পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করে পরিবার। পরে ২৩ জুন উত্তর পৈরতলা-কালিসীমা সড়কের সেতুর নিচে স্থানীয়রা গলিত নাঈমের মরদেহ উদ্ধার করে।

নাঈমের চাচা আলী মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা স্বপন দাস, উত্তম দাস ও নন্দন দাসকে গ্রেফতার করে।

তারা আদালতে উপস্থিত হয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জানায়, ১৬ জুন রাতে নাঈমকে জুয়া খেলার আসর থেকে মেয়ে (পতিতা) আছে বলে জুয়েল নিয়ে ফুসলিয়ে স্থানীয় একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে কাজল দাস, জুনু দাস ও অভিরাম দাস এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে নাঈমকে হত্যা করে। হত্যার পর মরদেহ লুকিয়ে ফেলতে সহায়তা করেন জুয়েল দাস, স্বপন দাস ও অশ্বিনী দাস।

অধিকতর তদন্ত শেষে সিআইডি ২০১০ সালের ২৯ জুলাই ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করে। ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর আদালত চার্জ গঠন করে। রবিবার আদালত এই মামলার রায় প্রদান করেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি আজাদ রকিব আহাম্মদ তুরান এ রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন। তবে বিবাদী পক্ষের আইনজীবী মো. রাকিব আহমেদ বলেন, এ মামলায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে নিজেদের না জড়িয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। কোনো সাক্ষী কোনো আসামির নাম বলতে পারে নাই। এই রায়ে ন্যায় বিচার বিঘ্নিত হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে যাব, আশা করি সেখানে আমরা খালাস পাবো।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর