১২ জুন, ২০২৪ ১১:৫৪

নীলফামারীতে গরুর হাটে অতিরিক্ত টোল নেওয়ার অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক

নীলফামারীতে গরুর হাটে অতিরিক্ত টোল নেওয়ার অভিযোগ

নীলফামারীতে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জমজমাট হয়ে উঠেছে পশুর হাট। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বেচাকেনা। জেলায় এবার ৪১টি স্থানে কোরবানির পশু কেনাবেচার হাট বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩১টি স্থায়ী ও ১০টি অস্থায়ী হাট রয়েছে।

এ ছাড়া ছয়টি অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও পশু কেনা-বেচা হচ্ছে। হাটে পর্যাপ্ত পরিমাণে দেশি গরু-ছাগল উঠতে শুরু করেছে। তবে পশুর হাটগুলোতে সরকারি নিয়ম না মেনে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুধু তাই নয়, কোনো কোনো হাটে রশিদ দেওয়া হলেও টোলের টাকা উল্লেখ করছেন না ইজারাদার নিয়োজিত রশিদ লেখকরা।

রশিদুল ইসলাম নামে এক পশু বিক্রেতা বলেন, গতবারের তুলনায় এবার গরুর দাম কম মনে হচ্ছে। হাটে ক্রেতারা আসছেন। কিন্তু দাম জিজ্ঞাসা করেই তারা চলে যাচ্ছেন।

আল মামুন নামে এক গরু ব্যবসায়ী বলেন, বসুনিয়া হাটে ১৫টি গরু কিনেছি। গরুর দাম অনেক বেশি। রশিদের মূল্য বেশি। প্রতিটি গরুর ক্রেতা-বিক্রেতার কাছে রশিদের ১ হাজার টাকা করে নিয়েছে।

ডোমার উপজেলার সোনারায় গ্রামের জামিয়ার রহমান বলেন, বসুনিয়া হাটে আজকে ১০টি গরু এনেছি। ইতিমধ্যে ৭টি বিক্রি হয়ে গেছে। তবে গরুর খাদ্যের দাম বাড়তি। এতে আমাদের উৎপাদন খরচ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। তবে হাটে গরুর চাহিদা ভালো।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ ডা. সিরাজুল হক বলেন, এবার জেলায় দুই লাখ ৭৬ হাজারের বেশি পশু খামারিরা লালন-পালন করছেন। এ বছর চাহিদা এক লাখ ৪৩ হাজারের একটু বেশি। কোরবানির পশুরহাটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম থাকবে।

নীলফামারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম সবুর বলেন, পশুর হাটে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প রাখা হবে। এ ছাড়া জাল নোট শনাক্ত করার মেশিনও রয়েছে। কোরবানির জন্য নির্ধারিত পশুর হাটে টোলের পরিমাণ সাইনবোর্ডে লেখা থাকতে হবে। যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে হাট কমিটির লোকজন সাথে সাদা পোশাকে পুলিশ তৎপর থাকবে।

বসুনিয়া হাটের ইজারাদার মোফাকখখারুল ইসলাম স্বপন বলেন, জেলা পর্যায়ে মিটিং করে হাটের টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর