১২ জুন, ২০২৪ ১১:৫৪

বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে গাড়ির চাপ দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অতিরিক্ত গাড়ির চাপ ও এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার মহাসড়ক দুই লেনে হওয়ায় এবং চালকদের নিয়ম না মেনে অভারটেকিংয়ের ফলে এই ১৩ কিলোমিটার মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে থেমে থেমে যানজট শুরু হয় এবং কিছু সময় ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার মহাসড়কের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এবার ঈদ যাত্রায় এই ১৩ কিলোমিটার সড়কে যানজটের আশঙ্কা করছে এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রী, চালক ও সংশ্লিষ্ট অনেকেই। 

বৃহস্পতিবার ভোর সকাল থেকে থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে এ মহাসড়কে। গাজীপুর থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেনের পর যানবাহন যখন এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের দুই লেনে প্রবেশ করে, তখন গতি কমে যায়। এতে করে যানবাহন চলচল করতে হয় ধীর গতিতে। ১০ মিনিটের রাস্তা পার হতে সময় লাগে ঘণ্টা খানিক। এতে করে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

হানিফ পরিবহনের চালক সুমন মিয়া বলেন, ঢাকা থেকে গতকাল সোমবার বগুড়া গিয়েছি। কিন্তু কোনো যানজটের মুখে পড়তে হয়নি। তবে আজ ভোরে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে এসে এলেঙ্গার পুংলীতে যানজটে পড়েছি। বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত দুই লেনের সড়ক হওয়ায় যানজটে পড়তে হচ্ছে। 

ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (উত্তর) রফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, মহাসড়কে পরিবহনের খুব চাপ রয়েছে। চার লেনে চলাচলকারী সকল যানবাহন যখন এলেঙ্গায় এসে দুই লেনের সড়কে প্রবেশ করে তখন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে পরিবহনগুলো খুবই ধীরগতিতে চলাচল করছে। 

বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আাহসানুল কবির পাভেল জানান, সেতু দিয়ে যত ফিটনেসবিহীন যানবাহন কম আসবে, ততই দুর্ঘটনা ও যানবাহন বিকল কম হবে। এতে যানজটের আশঙ্কাও কম থাকবে। সেতুর পাশে যত যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকবে, ততই যানজটের আশঙ্কা থাকে। এজন্য ভাংতি টাকা দিয়ে টোল পরিশোধ করতে চালকদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে সেতুর টোল পরিশোধ করতে ভাংতি টাকার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। তাছাড়া ঈদুল ফিতরের ন্যায় এবারও টোলবুথ বাড়ানো এবং মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা টোলবুথ স্থাপন করা হচ্ছে। 

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, ঈদুল আযহায় মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে কয়েকটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পশুবাহী ট্রাক ইতিমধ্যে চলাচল শুরু করেছে। এরমধ্যে উত্তরবঙ্গ থেকে মৌসুমী ফলভর্তি গাড়ি ঢাকার দিকে যাচ্ছে। মহাসড়কে পরিবহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে জেলা পুলিশের সাত শতাধিক সদস্য পালাক্রমে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করছে। 

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর