১২ জুন, ২০২৪ ১৬:৩২

বাড়ছে তিস্তার পানি, আতঙ্কে হাজারও মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

বাড়ছে তিস্তার পানি, আতঙ্কে হাজারও মানুষ

ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

কড়া নাড়ছে বর্ষা মৌসুম। সেই সাথে বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। শুকনো মৌসুমে তিস্তার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ এবং ভাঙন প্রবণ নদীর তীর সংস্কার না হওয়ায় শঙ্কায় রয়েছে নদীর পাড়ের রংপুরের তিন উপজেলার হাজার হাজার মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে বাঁধ ও তীর মেরামতের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। 

স্থানীয় পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি বছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারি, কোলকোন্দ, নোহালী, গঙ্গাচড়া সদর এবং গজঘণ্টা ইউনিয়ন। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গার্নারপাড়, বিনবিনার চর, শঙ্করদহ, পশ্চিম ইচলি, পূর্ব ইচলি, বাঘেরহাট, চর ঈশ্বরপুর, জয়রাম মৌজা, মর্নেয়া। কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের গদাই, পাঞ্জরভাঙ্গা, নিচপাড়া, তালুকশাহবাজ, ঢুসমারাম হরিশ্বর। পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের গাবুড়া, দৌলত খাঁ, কান্দিরা, শিবদেবচর, চর ছাওলা, কামারের হাট, রামসিং, জুয়ানের চর, তাম্বুলপুর ইউনিয়নের চর তাম্বুলপুর, নামাচর ও চর রহমত ভাঙন প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। 

সূত্রমতে, গঙ্গাচড়া উপজেলার গান্নার পাড় বাঁধটি মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। এবারের বর্ষায় ওই বাঁধের অস্থিত্ব মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া মর্ণেয়া ইউনিয়ন বিববিনার চর, লক্ষ্মীটারি  ইউনিয়নসহ  প্রায় ১০ কিলোমিটার প্রবল ভাঙন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ওইসব এলাকার নদীর তীর এবং বাঁধ সংস্কার না হওয়া আসন্ন বন্যায় শত শত মানুষের বসতভিাটা নদী গর্ভে চলে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। 

গান্নারপাড় গ্রামের অমিনুর  রহমান বলেন, গান্নার পাড়ের বাঁধ সংস্কার না করায় মারাত্মক হুমকির মুখে রয়েছেন তারা। নদী ভাঙন শুরু হলে ঘর সরানোর সময় পর্যন্ত পাওয়া যায়না। 
 
কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আনছার আলী বলেন,বর্ষার আগে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পানি উন্নয়ন বোর্ড মেরামত করলে ভাঙন কিছুটা রোধ করা সম্ভব হত। 

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, তিস্তা নদীতে পরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় প্রতি বছর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।  প্রতিবছর  একলাখ মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আজ বুধবার তিস্তার ডালিয় পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ৫১ দশমিক ২১ সেন্টিমিটার। একদিন আগে ছিল ৫১ সেন্টিমিটার। কাউনিয়া পয়েন্টে ছিল ২৭ দশমিক ৭৬ সেন্টিমিটার, একদিন আগে ছিল ২৭ দশমিক ৬৮ সেন্টিমিটার।
 
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, তিস্তার ডানতীর রক্ষা বাঁধের কিছু এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। এর মধ্যে গঙ্গাচড়া উপজেলার গার্নারপাড় এবং মর্নেয়ায় বাঁধের কয়েকটি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া কাউনিয়া উপজেলার গদাই ইউনিয়ন এবং পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নে কিছু এলাকা ভাঙন প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাঁধ ও নদীর তীর সংস্কারে বরাদ্দ চেয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ  পেলে সংস্কারের কাজ শুরু হবে।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর