১৪ জুন, ২০২৪ ১৯:০৪

কুড়িগ্রামে পশুর হাটে পুলিশের কঠোর নজরদারি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:


কুড়িগ্রামে পশুর হাটে পুলিশের কঠোর নজরদারি

আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরপত্তা ব্যবস্থা। দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা কোরবানির কথা বিবেচনা করে পশুর হাটগুলোতে ভিড় করছেন। এ সময় খুবই ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতা ও ক্রেতারা। এমন পরিস্থিতিতে পশুর হাটগুলোকে নিরাপদ রাখতে ও জাল টাকার নোট ব্যবহার না হতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। একথা জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম। তিনি জেলার বিভিন্ন পশুর হাট পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়াও জেলার সকল থানা এলাকার বিভিন্ন হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুম, জাল টাকা যাচাই মেশিনসহ ইজারাদার, ক্রেতা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলেন পুলিশ সুপার। 

 জেলা পুলিশ জানায়,আসন্ন ঈদে যেন কোনভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় এবং জেলার সকল শ্রেণিপেশার মানুষ নির্বিঘ্নে গরুর হাটে গিযে তার পছন্দের পশু ক্রয় করতে পারে সে লক্ষে কুড়িগ্রাম জেলার প্রত্যেকটি পশুর হাটে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন, কন্ট্রোলরুম স্থাপন, উঁচু ভবন থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, মেটাল ডিটেকটর ব্যবহার, মাইকিং, জাল টাকার মেশিন দ্বারা অর্থ চেকসহ, চুরি ছিনতাই, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি রোধে হাট, হাট সংলগ্ন এলাকা ও রাস্তায় সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। 

পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, হাটে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বিভিন্ন সমস্যা ও নিরাপত্তা বিষয়ে কথা বলেছি। ঈদকে সামনে রেখে কোন কুচক্রী মহল যদি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করে তাকে যে কোন মূল্যে আইনের আওতায় আনা হবে। এবারের ঈদ-উল আযহা উপলক্ষ্যে জেলার ৩১টি স্থানে পশুর হাট বসেছে।এর মধ্যে স্থানীয় হাট ২৫টি আর অস্থায়ী হাট ৬টি। 
এদিকে, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: মনাক্কা আলী জানান, এবারের কোরবানির জন্য প্রায় ৩ লাখ ৬৪ হাজার গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। জেলায় কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ১৬ হাজার বলেও জানান তিনি।

বিডি প্রতিদিন/এএ

সর্বশেষ খবর