১৯ জুন, ২০২৪ ১৭:৪২

তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই, পাচঁ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই, পাচঁ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি

ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তিস্তা ও সানিয়াজান নদী পাড়ের বাসিন্দারা বন্যার আশঙ্কা করছেন। পানি বাড়ার সাথে সাথে চরে বাস করা ৫ শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। 

লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ এসব খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকতাদের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। চরের একাধিক বাসিন্দা জানান, আজ বুধবার দুপুর থেকে তাদের বসতবাড়িতে পানি ডুকতে শুরু করেছে।

বুধবার  (১৯ জুন ) বিকেলে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৯২ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। এর আগে, সকাল ৬টায়  তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে ৫১ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

তিস্তা ও সানিয়াজান নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এতে প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারে ঘরবাড়িতে পানি উঠে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ,কালমাটি, রাজপুর, গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে।

চর সিন্দুর্নার মফিজার রহমান বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে চর এলাকার বসতবাড়ি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। পরিবারগুলো ঘর থেকে বের হতে পারছে না।

হাতীবান্ধার ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান খোকন বলেন, ফকিরপাড়া ইউনিয়নের দুইটি ওয়ার্ডের প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ পরিবারের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় ও নির্বাহী অফিসারকে অবগত করা হয়েছে। 
 
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, গজলডোবায় পানি ছেড়ে দেওয়ার কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল থেকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর