রংপুরে তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে এখনও বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে করে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে গঙ্গাচড়া উপজেলাতেও পানি বৃদ্ধির কারণে হুমকির মুখে পড়েছে বসতভিটা ও আবাদি জমি। ভাঙন ঠেকাতে সেখানে কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী বলেন, তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ক্ষেতের বাদাম,পাটক্ষেতসহ অন্যান্য ফসল তলিয়ে গেছে। কয়েত শতাধিক পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে এবং কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদী ডালিয়া পয়েন্টে স্বল্পমেয়াদে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
এদিকে তিস্তা নদীর পানির তোড়ে গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সেখানে প্রায় ১০০ মিটার অংশে ভাঙন শুরু হয়। খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা রাত থেকেই সেখানে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন থেকে ঘরবাড়ি রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে। ভাঙন প্রতিরোধে সেখানে ১৪ হাজার ৪২৩টি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী পিয়াস চৌধুরী।
লক্ষীটারি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহিল হাদি বলেন, তার ইউনিয়নে অনেকেই পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল