রাতের আঁধারে ইজিবাইকের যাত্রী সেজে দিনাজপুরে নির্জনে গিয়ে চালকের গলা কেটে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ছিনতাইকারী অভিযোগে মোকসেদুল মমিনসহ চোরাই ব্যাটারি ক্রয়কারী দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলো মোকসেদুল মোমিন (২৩) নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার সৈয়দপুর মিস্ত্রিীপাড়ার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। ভাঙারি দোকানদার মোঃ জামাতুল ইসলাম (২৮) দিনাজপুরের বিরলের দোগাছি এলাকার মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে এবং চোরাইমাল ক্রয়কারী মোঃ রাজন (৪২) দিনাজপুর সদরের পশ্চিম মিশন রোডের মৃত মঈন খানের ছেলে।
শুক্রবার দিনাজপুর সদর সার্কেল কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জিন্নাহ আল মামুন।তিনি ঘটনার বিবরণে জানান, গত ৪ জুন দিবাগত রাত ১০টার দিকে ইজিবাইক চালক আশরাফুল নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে ইজিবাইক চালিয়ে যাত্রী খুঁজছিলেন। এক পর্যায়ে যাত্রী সেজে ইজিবাইকটি রিজার্ভ করে ছিনতাইকারীরা। পথিমধ্যে চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজনংপুর ইউনিয়নের যথরঘু গ্রামের ফাঁকা রাস্তায় পৌঁছালে নির্জন পথের সুযোগ নিয়ে চালক আশরাফুলের হাত পা বেঁধে মারধর করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে ভিকটিম প্রতিরোধ করলে তার গলায় চাকু মারার পর মৃত ভেবে ফেলে রেখে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। পরে স্থানীয়রা ইজিবাইক চালককে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে সৈয়দপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় ইজিবাইক চালক আশরাফুলের বাবা বাদী হয়ে চিরিরবন্দর থানায় মামলা করলে দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদের দিকনির্দেশনায় আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার নীলফামারী থেকে মোকসেদুলকে গ্রেফতার করে পুলিশের একটি দল। পরে আটকৃতের দেয়া তথ্য মতে, এ ঘটনায় হত্যা চেষ্টায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম, ৫টি ব্যাটারি উদ্ধার ও চোরাই মাল ক্রয়কারী দুজনকেও গ্রেফতার করা হয়। হত্যাচেষ্টায় জড়িত আল-আমিন ও বাবুকে ধরতে অভিযান চলছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
বিডি প্রতিদিন/এএ