২১ জুন, ২০২৪ ১৯:৫৫

গাইবান্ধায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫৫ সে.মি উপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫৫ সে.মি উপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

গাইবান্ধার সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি বিপৎসীমায় ছুঁই ছুঁই করছে। ফলে নদী তীরবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারও মানুষ।

শুক্রবার (২১ জুন) বিকেল ৩টায় গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, দুপুর ৩টা পর্যন্ত তিস্তার পানি (কাউনিয়া পয়েন্টে) বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা গতকাল এ সময় ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৭৬ সেন্টিমিটার ঘাঘট নদীর পানি ১২৯ সেন্টিমিটার ও করতোয়া নদীর পানি ১৭৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

জানা যায়, গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ কারণের নদীর তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হচ্ছে। এসব এলাকার বেশ কিছু ঘর-বাড়ি ও বিভিন্ন ফসলাদি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারও মানুষ।

নদীগুলোর পানি বৃদ্ধির কারণে কামারজানি, হরিপুর, ফজলুপুর, কাপাসিয়া, এরেন্ডাবাড়ি, ঘাগোয়া, তারাপুর এলাকায় পানি উঠতে শুরু করছে। গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলে বেশ কিছু স্থান প্লাবিত হতে শুরু করেছে। সেই সাথে সুন্দরগঞ্জের কাপাসিয়া এলাকায় পানি বৃদ্ধির ফলে কিছু সংখ্যক ঘর-বাড়িতে পানি জমেছে। ধীরে ধীরে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে। এসব এলাকার পানিবন্দি মানুষরা গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ছেন।    

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, গাইবান্ধার সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি হতে থাকলে স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতির উপর সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে। 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর