কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নে তিস্তা নদীতে তীব্র স্রোতে ও বাতাসের কারণে নৌকা ডুবির ঘটনায় এখনো ছয়জন নিখোঁজ রয়েছে। গত দু’দিন ধরে তাদের উদ্ধারে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও রংপুর থেকে আসা ডুবুরির দল চেষ্টা চালিয়েও এখনো তাদের সন্ধান পায়নি।
শুক্রবার তৃতীয় দিনের মতো সকাল সাড়ে ১০টা থেকে নিখোঁজদের নদীতে নৌকা নিয়ে খুঁজতে বের হন ডুবুরিরা। এসময় উপস্থিত একই পরিবারের নিখোঁজ হওয়া আনিছুরের বাবা ও আরও পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন।
নিখোঁজ আনিছুরের বাবা চাঁদ মিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলে আনিছুর ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করত। সংসারের একমাত্র উপার্জন করার মতো ছেলে ছিল। এখন আমাদের ছেলে, ছেলের স্ত্রী ও দুই নাতনি নিখোঁজ হয়ে গেল।গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ২৫ জন যাত্রী নিয়ে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার সাপটানা এলাকায় বিয়ে খেতে গিয়ে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয়দের সহায়তায় ১৮ জন সাঁতার কেটে তীরে এসে পৌঁছালেও নিখোঁজ হন একই পরিবারের শিশুসহ সাতজন। পরে ঘটনার দিনই রাতে আয়শা সিদ্দিকা নামে আড়াই বছরের একটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা গেলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছে ছয়জন।
কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, আজ তৃতীয় দিনেও উদ্ধারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। রংপুর থেকে ছয়জন ডুবুরি এবং কুড়িগ্রাম থেকে পাঁচজন সাহায্যকারীসহ মোট ১১ জন উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছে। আমরা আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাব। আগামীকাল শনিবার সকাল থেকে আবারও এ উদ্ধার অভিযান চলবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই