মাদারীপুরের কালকিনিতে নাদিয়া বেগম (১৮) নামে এক পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহত নাদিয়া কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের খাসেরহাটের কানুরগাও গ্রামের বাসিন্দা ও শরীয়তপুরের ডামুড্যা থানার পুলিশ সদস্য জাহিদ হোসেনের স্ত্রী। নিহত নাদিয়ার স্বজনদের দাবি, যৌতুকের দাবিতে নাদিয়াকে গলাটিপে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে পুলিশ স্বামী। শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাঁশগাড়ি এলাকার পরিপত্ত গ্রামের জুলহাস তালুকদারের মেয়ে নাদিয়াকে নিজ বসতঘরের ভেতরে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে তাকে বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে কালকিনি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।
নিহত নাদিয়ার আত্মীয় মাদারীপুর জজকোর্টের আইনজীবী কামরুল ইসলাম জানান, ছুটিতে এসে নাদিয়াকে যৌতুকের দাবিতে মাঝে মধ্যেই মারধর করতো তার স্বামী জাহিদ। গত শুক্রবার রাতেও নাদিয়াকে প্রচন্ড মারধর করে জাহিদ। নাদিয়াকে গলাটিপে হত্যা শেষে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখে জাহিদ। ঘটনার পর জাহিদ গা ঢাকা দিয়েছে। আমরা মামলা করার সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা জাহিদের কঠিন শাস্তি দাবি জানাচ্ছি। তবে এ বিষয় জানতে চাইলে অভিযুক্ত স্বামী জাহিদকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা.মুক্তা জানান, নাদিয়ার মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। আমরা তাকে জীবিত অবস্থায় পাইনি।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি সরকার মামুন জানান, লাশ ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে আসলে কিভাবে নাদিয়া মারা গেছে। তবে এ বিষয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ