শিরোনাম
২৯ জুন, ২০২৪ ১৭:১৫

ভাঙ্গায় কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা, পুলিশ সুপারের ঘটনাস্থল পরিদর্শন

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

ভাঙ্গায় কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা, পুলিশ সুপারের ঘটনাস্থল পরিদর্শন

কিশোরীর বাবার আহাজারি

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পুকুরে গোসল করতে গিয়ে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছেন রেখা আক্তার (১৪) নামে এক কিশোরী। ঘটনার তদন্তে কাজ করছে ভাঙ্গা থানা পুলিশের পাশাপাশি ফরিদপুরের সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট, পিটিআই, ডিবি ও ডিএসবি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার সকালে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে কিশোরী রেখা আক্তারের মা মেরিনা আক্তার বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে অজ্ঞাত ব্যক্তি/ব্যক্তিদের আসামি করে ভাঙ্গা থানায় মামলা করেছেন। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, ভাঙ্গা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তালাত মাহমুদ শাহানশাহ, ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মামুন আল রশিদসহ পুলিশের বিভিন্ন সংস্থার লোকজন।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে আসলে কিশোরীর মা মেরিনা আক্তার ও বাবা আব্দুল হাই মাতুব্বর কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা ন্যায় বিচারের দাবি করেন।

বাবা আব্দুল হাই মাতুব্বর বলেন, ‘আমি চাইয়ে চিন্তে খাই। না পাইলে না খাই। আমার মাকে (মেয়ে রেখা আক্তার) যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই। আমার মা নাবার (গোসল) গেছে। তারে ধইরা নিয়ে পাটক্ষেতে মাইরা ফ্যালাইছে। আমার মা কাঁঠাল খাইতে পছন্দ করতো। শুক্রবার সকালে মা’র জন্য ভাঙ্গা বাজার থেকে কাঁঠাল কিনে আনছি। মা কয়েকটি রওয়া খাইছে। বাকি কাঁঠাল পইড়া রইছে।’

মা মেরিনা আক্তার বলেন, আমার স্বামী অসুস্থ। আমি অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাই। কাজ শেষে শুক্রবার দুপুরে একটু শুইছি। সেই সময় মেয়ে আমার গোসল করতে যায়। গোসল শেষে ভিজা কাপড় পুকুর পাড়েই পরিবর্তন করে। ভিজা কাপড় পুকুর ঘাটে সেভাবেই পড়ে ছিল। আমার মেয়েকে খুন যারা করেছে তাদের শাস্তি চাই।’

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন আল রশিদ বলেন, আমি চার মাস আগে ভাঙ্গা থানায় যোগদান করেছি। শুনেছি মেয়েটি বছর খানেক আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। বিষয়টি ওই সময় থানায় আসেনি। দুই পরিবার স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করেছিল। ওই ছেলেও আমাদের সন্দেহের বাইরে নয়।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে বোঝা যায় মেয়েটিকে ধর্ষণ করে সালোয়ার গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশের একাধিক টিম তদন্ত করছে। সন্দেহভাজন কেউ যাতে পালিয়ে যেতে না পারে, সেজন্য ডিবি পুলিশ তৎপর রয়েছে। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে প্রকৃত অপরাধী শনাক্ত করে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করতে পারবো।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর