শিরোনাম
২৯ জুন, ২০২৪ ১৭:৪৬

বর্ষায় জেগে উঠেছে পাহাড়ের রূপ

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

বর্ষায় জেগে উঠেছে পাহাড়ের রূপ

বর্ষায় ছোঁয়ায় অপরূপ ‍মুগ্ধতা নিয়ে হাজির হয়েছে দেশের পাহাড়ি জনপদ রাঙামাটি। সবুজ সতেজ চারপাশ। সবুজে সবুজে ছেয়ে গেছে পাহাড়ের পথ-প্রান্তর। নীল আকাঁশ জুড়ে আছে শুভ্র সাদা মেঘ।  কখনো মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। আবার কখনো মিহি বাতাসের ঝাপটা। 

পার্বত্যাঞ্চলে আছে শত শত ঝরনা, গিরিখাদ, আর আঁকাবাঁকা নদী। এখানে প্রকৃতি যেন উজাড় করে দিয়েছে নিজেকে। 

গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত, কিংবা বসন্তে সব ঋতুতেই সৌন্দর্যের জৌলুশ থাকে পাহাড়ে। তবে পার্থক্য কেবল ঋতুর সাজে। বর্ষায় পাহাড় যেন থাকে পূর্ণ যৌবনে। একটু বৃষ্টি নামলেই পাহাড়ে সারা দিন চলে নীল, সাদা ও সবুজের লুকোচুরি। সন্ধ্যার আকাশে গোধূলির রঙ ছড়াতেই ঝাঁক বেঁধে আসে বনের পাখিরা। তাদের খুনসুটি দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা। অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর সমৃদ্ধ রাঙামাটির পাহাড় পর্যটকদের কাছে অনেকটা রূপকথার গল্পের মতোই। তাই তো পাহাড়ে এসে প্রকৃতির প্রেমে পড়েনি এমন মানুষ খুব কমই আছে। 

পর্যটন সূত্রে জানা গেছে, টানা খরার পর বৃষ্টির শুরু থেকেই রাঙামাটিতে যাত্রা শুরু হয়েছে পর্যটকদের। বিশেষ করে সাজেকমুখী পর্যটকদের ঢল বেশি নামছে। জেলার আশপাশের পর্যটক ছাড়াও আসছে বিদেশিরাও।

রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, পাহাড়ে রয়েছে পর্যটকদের আনন্দ ও মনোরঞ্জন জোগানোর অসংখ্য নৈসর্গিক পর্যটক কেন্দ্র। রাঙামাটিতে আছে-পর্যটন কমপ্লেক্সের ঝুলন্ত সেতু, ডিসি বাংলো, পলওয়েল পার্ক, পেদাটিংটিং, সুবলং ঝরনা, রাঙামাটি পার্ক, সুখী নীলগঞ্জ ও আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়ক। 

এছাড়া রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের নীল জলে নৌ ভ্রমণের মতো রোমাঞ্চকর পরিবেশ তো রয়েছেই। এসব দেখে পর্যটকদের আনন্দ-উল্লাসের ফোয়ারা বেড়েছে কয়েকগুণ। এ সজীবতায় পাহাড় এখন পর্যটক উৎসবে মেতেছে। শান্ত পরিবেশ। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য পাহাড়ে ঘুরার এটাই উত্তম সময়। 

 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর