১ জুলাই, ২০২৪ ১৬:০৬

চকরিয়ায় গ্রাম পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:

চকরিয়ায় গ্রাম পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

কক্সবাজারের চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত চলাকালে বিবাদী পক্ষের হামলায় গ্রাম আদালতের আসবাবপত্র ভাঙচুর, নথিপত্র তছনছ ও গ্রাম পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নারী সদস্য রাশেদা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। 

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জমির বিরোধ নিয়ে ইউনিয়নের পহরচাঁদা গ্রামের রিনা আক্তার বাদী হয়ে আকবর হোসেন ও এনামুল হক গং এর বিরুদ্ধে পরিষদে একটি অভিযোগ দেন। এর পর নিয়মানুযায়ী নোটিশ দিয়ে বাদী ও বিবাদীপক্ষকে সালিশকার নিয়োগ দিতে বলা হয়। কিন্তু বিবাদীপক্ষ সালিশকার নিয়োগ না দিয়ে দ্বিতীয় কার্যদিবস তথা গত ২৩ জুন গ্রাম আদালত চলাকালে উপস্থিত হন। বেলা দেড়টার দিকে এই অভিযোগটি নিয়ে শুনানি করার সময় বাদী তার বক্তব্য উপস্থাপন করার সময় কটুক্তিমূলক বিভিন্ন কথাবার্তা ছুঁড়ে দিয়ে বিবাদীপক্ষ ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। সেই মুহূর্তে এজলাসে বসে থাকা চেয়ারম্যান ছালেকুজ্জামান উভয়পক্ষকে সংযত আচরণ করার নির্দেশ দেন। তখনই এখানে ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে না মর্মে হৈ চৈ শুরু করে বাদীপক্ষের লোকজন গ্রাম পুলিশ রিদুয়ানসহ বেশ কয়েকজনের ওপর হামলে পড়ে বিবাদীপক্ষ। এ সময় তাদেরকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলেও বিবাদীপক্ষের লোকজন গ্রাম আদালতের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর, বিভিন্ন নালিশি অভিযোগের নথিপত্র তছনছ করে। বিষয়টি নিয়ে আপোষ মিমাংসার উদ্যোগ নিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

পরে দুপুর ২টার দিকে বিবাদী পক্ষের লোক নাজেম উদ্দিন দুলাল আরো ৮-১০ জন সন্ত্রাসী ভাড়া করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে ইউনিয়ন পরিষদ সচিবকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এক পর্যায়ে পরিষদের এজলাসের চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে। এছাড়া গ্রাম আদলতের মামলার নথি,  ফাইল ও বিভিন্ন রেজিস্ট্রার ছিঁড়ে নষ্ট করে দেয়।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতে বিচার চলাকালে হামলা চালিয়ে গ্রাম পুলিশকে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর