শিরোনাম
৩ জুলাই, ২০২৪ ২০:৫৪

বগুড়ায় প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ায় প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

বগুড়ায় প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার উচরং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেফালী খাতুনকে অপসারণের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকাবাসী। 

বুধবার দুপুরে বিদ্যালয় সংলগ্ন আঞ্চলিক সড়কে উচরং, বেলতা, আয়রা, ঘোলাগাড়ী, সাধুবাড়ী ও মামুরশাহী গ্রামবাসী এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন।

মানববন্ধনে অভিভাবক, জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবকসহ এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন। এরআগে ওই প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

মানববন্ধনে শাহবন্দেগী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সোহেল রানা বলেন, গত ২০২০ সালে উচরং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে শেফালী খাতুন যোগদান করেন। এরপর থেকে নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে নিজের কব্জায় নিয়ে স্লিপ প্রকল্পের টাকা, ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের খেলনা সামগ্রী ক্রয়ের টাকাসহ বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ পাওয়া টাকা নয়ছয় করেছেন। এর ফলে প্রতিষ্ঠানের কোনও উন্নয়ন হয়নি। এছাড়া শিক্ষার পরিবেশও নষ্ট করে ফেলেছেন তিনি।

উচরং গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ুন কবির বলেন, তিনি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে বড় ধরনের অনিয়ম করেছেন। নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে কোনও প্রকার সাধারণ সভা ও নির্বাচন ছাড়াই কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া করছেন তিনি। প্রতিবাদ করায় গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নামে একজন শিক্ষককে দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিভাবক আব্দুল বারিক সরকার বলেন, বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম একেবারেই ভেঙে পড়েছে। সেদিকে নজর নেই ওই প্রধান শিক্ষকের। তিনি শুধু বিদ্যালয়ের নামে বরাদ্দের টাকা আত্মসাত আর পাশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আলোচনা-সমালোচনা নিয়ে ব্যস্ত। এছাড়া এই প্রধান শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে গিয়ে নিজে কোনও পাঠদান করেন না। শিক্ষকদেরও সেভাবে নির্দেশনা ও তদারকি করেন না। ফলে প্রতিদিনই শিক্ষার্থী কমছে।

এসময় ওই প্রধান শিক্ষককে অপসারণ করে বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরের কর্মকর্তাদের নিকট জোর দাবি জানান তারা।

উচরং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেফালী খাতুন জানান, যথাযথ নিয়ম মেনেই বিদ্যালয়টি পরিচালনা করছেন তিনি। তাই অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগগুলো সঠিক নয়। এই বিদ্যালয় থেকে আমাকে সরিয়ে দিতেই একটি মহল এই ধরনের কর্মসূচি পালন করেছেন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/একেএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর