৩ জুলাই, ২০২৪ ২১:৫২

সিরাজগঞ্জে বন্যার আশঙ্কা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

সিরাজগঞ্জে বন্যার আশঙ্কা

যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকায় বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। একই সাথে ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম কাটছে চরাঞ্চলসহ ভাঙনকবলিতদের। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের হার্ড পয়েন্টে ৪২ সে.মি পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৬ সে.মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে, পানি বাড়ায় চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পাট, আমন ধান, শাক সবজির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অন্যদিকে, পানি বাড়ায় কাওয়াকোলার চরাঞ্চলের হাট বয়ড়া, দৌগাছী, বড়কয়রা, ছোট কয়রা, কৈগাড়ী দড়তা, চন্ডল বয়ড়া, বেড়া বাড়ী, শাহজাদপুর উপজেলার পাঁচিল, জালালপুর, আড়কান্দি, কাজিপুরের খাসরাজবাড়ীতে ভাঙনে ইতোমধ্যে সহস্রাধিক কাঁচাপাকা বসতভিটা, ফসলি জমি, গাছপালা, রাস্তাঘাট, হাসপাতাল, বিদ্যুতের খুটি, সরকারি গুচ্ছগ্রাম বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের শঙ্কায় শতশত মানুষ ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে। কাজকর্ম না থাকায় ভাঙন কবলিতরা মানবেতর জীবনযাপন করলেও কেউ তাদের পাশে দাঁড়ায়নি।  

সদর উপজেলার কাওয়াকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়া মুন্সী জানান, নদীভাঙনে জেলার মানচিত্র থেকে মুছে যেতে চলেছে কাওয়াকোলা ইউনিয়ন। ভাঙনরোধে পাউবো কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কাওয়াকোলা ইউনিয়নের অনেক গ্রাম ইতিমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। চলতি বছর এ পর্যন্ত ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি নদীতে চলে গেছে। ভাঙনের কারণে কমিউনিটি ক্লিনিক নিলামে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় শাক-সবজি, পাটক্ষেত ও আমন ধান তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। 
পাচিল গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা রাশেদুল ইসলাম জানান, ভাঙন থেকে রক্ষায় ৩ বছর আগে নদীর ডানতীরে স্থায়ী বাঁধের কাজ শুরু হয়। তবে সেই কাজ শুধু ব্লক তৈরি মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। নির্দিষ্ট সময় পাড় হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যথাসময়ে কাজ না করায় এই ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারের গাফিলতির জন্য এ ভাঙন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, করালগ্রাসী যমুনার ভাঙনরোধে কয়েকটি পয়েন্টে জিওব্যাগ জিওটিউব ফেলা হলেও ভাঙ্গনরোধ হচ্ছে না। ভাঙনরোধে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে চরাঞ্চল কাওয়াকোলা ভাঙনে কোন প্রকল্প না বা জরুরি বরাদ্দ না থাকায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরো জানান, যমুনা নদীর পানি আরও দুই থেকে তিনদিন দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে মাঝারী ধরনের স্বল্প মেয়াদী বন্যা হবার সম্ভাবনা রয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর