৫ জুলাই, ২০২৪ ১৪:৫৬

নীলফামারীতে ছড়িয়ে পড়ছে গরুর লাম্পি স্কিন রোগ

নীলফামারী প্রতিনিধি:

নীলফামারীতে ছড়িয়ে পড়ছে গরুর লাম্পি স্কিন রোগ

নীলফামারীতে ছড়িয়ে পড়ছে গবাদি পশুর লাম্পি স্কিন রোগ। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জেলার খামারি ও প্রান্তিক কৃষকেরা। গ্রামের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েও মিলছে না কোন সঠিক সমাধান। এতে করে অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পরেছে গরু খামারি ও প্রান্তিক কৃষকেরা। 

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার হরিনচড়া ইউনিয়নের হ্ংসরাজ গ্রামের প্রাণকৃষ্ট বর্মনের ৭০ হাজার টাকা মূল্যের শাইওয়াল ষাঁড় দুই মাস চিকিৎসা পর মারা যায়। একই এলাকার লিটন রায়ের চল্লিশ হাজার টাকা একটি লাল বাচ্চি ও দিলিপ চন্দ্র রায়ের ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি গরু মারা যায়। তবে বড় গরুর চেয়ে ছোট বাছুরে মধ্যে এ রোগ ব্যপক আকারে ছড়িয়েছে পড়েছে। প্রতিদিন জেলার ৬টি উপজেলায় এ রোগে নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্ত পশুর চিকিৎসা করেও সুফল পাচ্ছেন না কৃষক। পশু হাসপাতাল ও স্থানীয় বাজারে মিলছে না প্রতিষেধক টিকা এবং ঔষুধ। 
নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের লোকমান পাড়ার আব্দুল মালেক (৪২) জানান, ‘গত এক সপ্তাহ থেকে আমার একটি গরুর শরীরে জ্বড় ও জ্বড়ের সঙ্গে নাক-মুখ দিয়ে লালা ঝড়ছে। এরপর পুরো শরীরে প্রচুর গুটি গুটি দেখা দেয়। এতে শরীরের লোম উঠে গিয়ে পুরো শরীরে ঘা ছড়িয়ে পড়ে। পশু হাসপাতালেও মিলছে না চিকিৎসা।’’
ওই ইউনিয়নের পাটোয়ারী পাড়ার দয়াল রায় বলেন, ‘কিছু দিন আগে কেশব রায় ও শরিফুলের দুইটি বাছুর মারা গেছে। একটি শাহিওয়াল অপরটি দেশি জাত। হাসপাতালে ঔষুধ নাই, টিকাও নাই।

নীলফামারী সদর উপজেলা পশু হাসপাতালের ভ্যাটেনারি সার্জন ডা. নাসরিন আকতার বলেন, এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ, তাছারা এটি মশা, মাছির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। জুন-জুলাইয়ের দিকে এ রোগের প্রাদূরভাব দেখা দেয়। এ রোগের প্রতিষেধক হিসেবে গরুকে প্যারাসিটামল ও এন্টিহিস্টাভেট দেয়া যেতে পারে। ভুলেও এ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেয়া যাবে না। এর প্রতিষেধক হিসেবে মশারি, গরু রাখার ঘর পরিষ্কার রাখতে হবে।  

জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সিরাজুল হক জানান, এ যাবত কতগুলো গরু আক্রান্ত হয়েছে এর কোন সঠিক পরিসংখ্যান বা মারা যাওয়ার তথ্য আমাদের কাছে নাই। জেলায় প্রচুর গরু ওই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। সরকারিভাবে টিকার বরাদ্দ নেই। তাই এর কোনো চিকিৎসা নেই। মশা ও মাছির মাধ্যমে এ রোগ বেশি ছড়ায় বলে আক্রান্ত পশুকে মশারির ভেতরে রাখার খামারি ও মালিকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ রোগ নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 

বিডি প্রতিদিন/এএম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর