শিরোনাম
৫ জুলাই, ২০২৪ ১৭:১৮

সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি শঙ্কা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি শঙ্কা

ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনার নদীর পানি দ্রুত গতিতে বাড়ছে। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ায় সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার নদী তীর, চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের রাস্তঘাট, বসতবাড়ী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবাদি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। কাজ কর্ম না থাকায় চরম কষ্টে দিনযাপন করছে। শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে পানি বাড়ায় যমুনার অরক্ষিত অঞ্চলে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের অর্ধেকাংশসহ সহস্রাধিক বসতভিটা, হাসপাতাল, হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। সবমিলিয়ে বন্যা ও ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে বন্যা কবলিতদের। 

কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়া মুন্সী জানান, ইতোমধ্যে কাওয়াকোলা ইউনিয়নের প্রায় অর্ধেকাংশ বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনরোধে ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে কাওয়াকোলা ইউনিয়ন সদর উপজেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে। এছাড়াও ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ী তলিয়ে যাওয়া বন্যা কবলিতরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। ফসল তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। 
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, যমুনা নদীর পানি আরো দুতিন বেড়ে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তবে বড় ধরনের বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই। আর ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোতে বালি ভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, যমুনাসহ নদ-নদীর পানি বাড়লেও বন্যা পরিস্থিতির এখনও অবনতি হয়নি। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। প্রতিটি উপজেলায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর