৯ জুলাই, ২০২৪ ১৮:২৪

কমছে যমুনার পানি, সিরাজগঞ্জে ভাঙ্গন রোধে সতর্ক পাউবো

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

কমছে যমুনার পানি, সিরাজগঞ্জে ভাঙ্গন রোধে সতর্ক পাউবো

সিরাজগঞ্জ জেলায় যমুনা নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় জেলার অরক্ষিত নদী তীর এলাকায় ভাঙ্গনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তবে ভাঙ্গন কবলিত এলাকাগুলোতে সার্বক্ষণিক সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মুখলেসুর রহমান জানান, সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের মেঘাই স্পার বাঁধ, শাহজাদপুরের হাঁটপাটিল ও চৌহালী উপজেলার ভাঙ্গন কবলিত এলাকাগুলোর প্রতি আমরা সার্বক্ষণিক দৃষ্টি রাখছি। আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা এসব অঞ্চল নজরদারিতে রেখেছেন। যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক জিও ব্যাগ বা জিওটিউব ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে কাজিপুরের মাইজবাড়ি স্পার বাঁধ এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। 

এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়া অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হাসানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিাত ছিলেন। এরপর বিকেলে শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী।

এদিকে, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৩৯ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার এবং কাজিপুর পয়েন্টে একই সময়ে ১৯ সেন্টিমিটার পানি কমে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে। চলতি মাসে আর পানি বাড়ার আশঙ্কা নেই। তাই জেলায় বড় ধরনের বন্যার শঙ্কাও নেই।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান জানান, জেলার ৫টি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নে ২১ হাজার ৪৯টি পরিবারের ৯৪ হাজার ২১৬ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব মানুষের জন্য ইতোমধ্যে ১০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আরও ১২০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ২০ লাখ টাকা ও ৭শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুত রয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর