১২ জুলাই, ২০২৪ ১৯:৫১

কুড়িগ্রামে কমেছে পানি, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে কমেছে পানি, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারসহ সবক’টি নদ-নদের সবকটি পয়েন্টে পানি আরও কমে জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে (সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত) ব্রহ্মপুত্র নদের হাতিয়া পয়েন্টে পানি কমে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এছাড়া ধরলা নদীর সেতু পয়েন্টে, তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে এবং দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে পানি কমে বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। 

ফলে ধীরে ধীরে জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু এখনও বানভাসিদের দুর্ভোগ কমেনি। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়া অনেক বানভাসি এখনও তাদের নিজ নিজ ঘরে ফিরতে পারেনি। চলতি দুই দফা বন্যায় জেলার ৯ উপজেলার ৫৫টি ইউনিয়নের আড়াই লক্ষাধিক মানুষ এখনও পানিবন্দি। উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের দুর্গম চর এলাকার চরগুজিমারির বাসিন্দা মোতালেব হোসেন জানান, হার্টের সমস্যা নিয়ে প্রায় ১১দিন ধরে পানিবন্দি রয়েছি। এখন পর্যন্ত কেউ কোন ত্রাণ দিতে আসেনি। পরিবারের ৪ সদস্যকে নিয়ে শুকনো জায়গায় যাদের বাড়ি সেখানে গিয়ে কিংবা নৌকায় রান্নাবান্না করে কষ্টের মধ্য দিয়ে চলছি। 

অন্যদিকে, তিস্তা নদীর পাড়ের ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নে তৈয়বখাঁ ও পাড়া মৌলায় নদী ভাঙন প্রকট আকার ধারণ করেছে। এছাড়াও ধরলা নদীর সদরের হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব এলাকায় নদীতে ঘরবাড়ি ও স্থাপনা ভাঙনে চলে যাচ্ছে।
 
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, বন্যা মোকাবেলায় এ পর্যন্ত ৫৪২ মেট্রিক টন চাল, ৩২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও ২৩ হাজার ১২০ প্যাকেট শুকনো খাবার জেলার ৯ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণের মাধ্যমে বিতরণ চলমান রয়েছে।


বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর